“ অসুখ পোকা”
আজ কয়েক দিন কথা হয়না
তোমার সাথে আমি জানি কিছু অসুখ পোকা বেশ জ্বালাচ্ছে
ওরা সকাল বিকাল রাত কিছুই মানছেনা
কেনো এতো মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তোমার এলোমেলো খোলা চুলে এখন তেল চুপচুপ করে।
বাঁসা বাধঁতে চায় উকুন নামের ছোট ছোট কিছু পোকা।
আজও কি প্রতিদিনের মতো ভোর ৫ টায় উঠেছো?
আলাদা আলাদা করে সবার জন্য নাস্তা
নিজে কখনো সময় মতো খেতে পারো না?
কি ভাবে খাবে তুমি?
কখনো চিন্তা করো নিজের কথা।
স্নান করেছো?
নাকি কাজের চাপে সে সময়টাও হয়নি।
মুখটা ভার করে থাকো কেনো?
চোখের নীচে কালো দাগ ফেলেছো।
ফোনটার দিকে তাকিয়ে থাকো একবার হাতে নেও,
আবার রেখে দাও
এই রাখা হাতে নেওয়ার খেলা বন্ধ করে একটা বার ফোন করো না কেন?
এ ভাবে আমাকে ভালো রাখবে ?
তোমার শরীরের প্রতিটি কষ্ট আমি অনুভব করতে পারি।
বড্ড বেশি ভালোবাসো আমায়!
হেঁটে গিয়ে রিক্সা ভাড়া বাঁচিয়ে কথা বলার জন্য এম.বি কিনবে না ?
তোমার কাজের চেয়ারটা তোমার দিকে তাকিয়ে থাকে
সেও বুঝতে পারে তোমার কষ্ট।
বেশ ভালোবাসা হয়ে গেছে তোমার
চেয়ার আর সেলাই মেশিনটার।
আমার মুখে খোচা খোচা দাড়ি হয়েছে !!!
কিন্তু আমি শুনতে পারছিনা সেই শব্দটা তুমি সেভ করোনি কেন,
আমি কথা বলবো না।
আমি টি-শাট পরে অফিসে যাচ্ছি তুমি বলছোনা,
টি-শার্ট পরে কখনো অফিসে যাবেনা।
তুমি স্কুলে,
আবৃত্তি ক্লাসে না গিয়ে প্যাথলজিতে যাচ্ছো
পরীক্ষা করতে তোমাকে তো আমি এখন পড়াশুনা করতে বলিনি
তোমার পরীক্ষা দিতে হবেনা।
তুমি রোজ দিনের মতো ভোর ৫ টায় উঠো,
আমি বারণ করবো না।
তুমি আবার ব্যাস্ত হও
অনেক ব্যস্ত থাকো
আমাকে ফোনে বলো তোমার মতো তো অফিসের জামাই না
আমাকে একাই সব সামলাতে হয়।
তোমার কথা মনে হলে আমার হার্টবিট বেড়ে যায়
আমার হার্টবিট বাড়ে ।
তোমায় না দেখলে আমার ছটফট লাগে
আমার ছটফট লাগে ।
তোমার মেরুদন্ডে ভিষন ব্যাথ্যা করছে
মাথার ব্যাথ্যাটা আবার বেড়েছে
তুমি ঘুমাচ্ছোতো নাকি ঘুমোতে পারছো না ?
আমি ঘুমোতে পারছিনা কেন?
আমার তো মেরুদন্ডে ব্যাথ্যা নেই
মাথায় ও বাঁথা নেই।
তুমি শাড়ী পড়ছো তো? কপালে কালো টিপ?
রাস্তায় বেরোলে দু-জনই এক সাথে বলে উঠবে জোড়া শালিক।
পেত্নি শালিক আর ভুত শালিক।
আমি অপেক্ষা করছি
তোমার হাঁসি মুখের ফোনটার,
একসাথে হাঁটতে যাবে ঘুরতে,
যাবো বাদাম খাবো,
হাতে হাত রাখবো ,
লেকের ধারে বসে গল্প করবো,
তোমার চোঁখে চোখ রেখে ছবি আঁকবো
দু-জনে বসে হাঁসবো,
সমস্ত কষ্ট ভুলে গিয়ে নতুন করে বাঁচবো ,
সবাই জানুক আমি প্রেম করছি,
সবাই জানুক আমি তোমার প্রেমে পড়েছি।
লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন