অসিত কর্মকার
জাগো দশভূজা
আকাশটা জুড়েই মেঘ জমেছে,
শব্দ ফাটছে অশ্লীল, তারই ফাঁকে প্রতিফলিত হচ্ছে
খানিকটা আকাশের নীল।
সেই নীলের ছটায় একাংশ পুলকিত,
কাশবন বিলাচ্ছে হিমেল বাতাস, মনেও গজেছে ডানা
শব্দ ফাটলেও উড়বে, শুনবে না কোনো মানা।
আনন্দে ঢাকিরাও সাধে ষোলো মাত্রার বোল,
পাখিরাও ফুলবনে, শালুক ফুটেছ, পদ্মও ফুটেছে খুব
ফুটেছে কুমারের পরশে মৃণ্ময়ী মায়ের রূপ।
এরপর
মুহুর্মুহু শব্দে কেঁপে ওঠে কাশবন,
কাঁপে লঘুদের প্রাণ, এই বুঝি ফের মৃণ্ময়ী দেহটাকে
চূর্ণবিচূর্ণ করে নররূপী কোনো ম্লেচ্ছ-জন।
সেই ভয়ে
শরতেই করে পণ, হোক গর্জন
থাকে থাকুক দক্ষিণায়ন, তবু অসুর বিনাশে ত্রস্তরা
মন্ত্রোচ্চারণে ঘটাবেই দেবী জাগরন।
০৭-০৮-২০১৯ খ্রী: