“মা কে নিয়ে কিছু কথা”
কবি: আব্দুল্লাহ আল মামুন
পৃথিবীর সবচেয়ে দৃঢ় সম্পর্কের নাম ‘মা’। সবচেয়ে পবিত্র ও মধুর শব্দের নাম ‘মা’। মায়ের প্রতি ভালোবাসার কথা লিখে কিংবা বলে বোঝানো অসম্ভব। শিশুকালে মা সন্তানের চোখের আড়াল হলেই, কেঁদে বুক ভাসায় শিশু। তখন মা সহজেই বুঝে নেন, ‘মাকে ছাড়া সন্তানের করুণ অবস্থা’। কিন্তু সন্তানরা বড় হলে লেখাপড়া কিংবা কাজের তাগিদে দূরে চলেযায়। মা একলা বাড়িতে থাকেন, আর সন্তানদের আগমনের দিন গুনেন। মা তখন চাইলেও তার বুকের ধনকে কাছে রাখতে পারেন না। মা সে কষ্টের কথা মুখ ফুটে কখনো বলেনও না, সন্তান যদি কষ্ট পায়, সে কথা ভেবে। সময়ের ব্যবধানে দুরন্ত কৈশোরের মতো মাকে হয়তো আর ক্ষণে ক্ষণে জড়িয়ে ধরা হয় না।
মা হয়তো ভাবেন: সন্তান বড় হয়েছে, মায়ের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। মায়ের বুকটা হাহাকার করে- সন্তানকে একটু জড়িয়ে ধরতে। মায়ের সেই আবেগময় প্রত্যাশা আমরা এখন একবারো পূরণ করতে পারিনা ! জীবনের চরম সংকটকালে পরম সান্তনরা নিরাপদ স্থল হিসেবে যার কথা মনে করে তিনিই মমতাময়ী মা। মা’ই প্রথম পৃথিবীর রং-রূপ-শব্দ-গন্ধ চেনান-দেখান-শেখান। যে মা রাত-দিন খেয়ে না খেয়ে, ঘুম হারাম করে সন্তানদের লালন-পালন করেন ওই মা’র প্রতি অনেক সন্তানরা অবজ্ঞা করে চলেছে অবলীলায়।
একটা শিশু যখন পৃথিবীতে আসে, তখন তাকে একে একে কত কিছুই না চেনাতে হয়। মাথার উপরের নীল আকাশ, দূরের গাছ কত কী! জীবনে সাফল্যের পরিমাণ যত অগণিতই হোক না কেন, মা কাছ থেকে, ভালবাসার ছায়া থেকে সে কখনো দূরে সরে যেতে পারে না। সন্তান যত বড়ই হোক, তার অভিমান আর অবহেলার গুণিতক যতই বিশাল হোক মা’র স্নেহের দরজা সব সময়ই খোলা থাকে তার সন্তানের জন্য। বাড়িতে ফিরে মায়ের সাথে কয়েক মুহূর্তের জন্য বসে দুটি কথা বললে কোথায় যেন দিব্যি মিলিয়ে যায় চিন্তা-দুশ্চিন্তা। মা আমাদের কাছে বড় কোনো উপহার চান না !!! বরং ব্যস্ততার মাঝে একটু সময় মা কে দিলেই হয় !!! এমন কোনো মা নেই যিনি সন্তানের ওই সান্নিধ্যটুকু উপভোগ করেন না।
মা যদি হন নিঃসঙ্গ, তাহলে তো সন্তানের পাশে এক মুহূর্ত বসে থাকাটা তার কাছে হয়ে দাঁড়ায় তাজমহল দেখার চেয়েও বড় এক প্রাপ্তি। মা শব্দটির সাথে মধুরতা তো লেগেই আছে সারাক্ষণ। ভুলে যাই মা’র অসীম স্নেহের মাঝে বেড়ে ওঠা শৈশব আর কৈশোরের দিনগুলোকেও। ব্যস্ত শহরে আর ঠাস বুনোটের ভিড়ে আমাদের সব আবেগ-অনুভূতিই ইদানীং বড় বেশি যান্ত্রিক। মা জন্য একান্ত করে কিছু সময় বের করে নেওয়ায় সময়ই এখন আর আমাদের নেই……
আরও দেখুন
বড়াইগ্রামে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন করা হয়েছে। পরে সকাল …