নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে স্থানীয় ঠিকাদারের ম্যানেজারকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বাঁধ নির্মাণ কাজের শ্রমিকদের মজুরির ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা নয়ন নামের একব্যক্তি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বেলা ৪টায় দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের নবাবজায়গীর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুত্ব আহত হয় ম্যানেজর আব্দুল মমিন শাহিন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
আহত ম্যানেজার শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের চর ঘোড়াপাখিয়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে আব্দুল মমিন শাহিন (৪০)।
আহত শাহিন জানান, গত ৩ মার্চ থেকে সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের নবাবজায়গীর এলাকায় ৮ নম্বর বাঁধ এলাকায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। এরপর থেকেই বড় মরাপাগলা গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে নয়ন আলী (৩০) ঠিকাদারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত আমাকে চাপ দিয়ে আসছিল। বাঁধের শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিল। এমন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে নয়ন ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে এসে বাঁধ এলাকায় একটি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক তৈরি করে আমাকে লোহার রড দিয়ে মাথা ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর আহত করলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে সন্ত্রাসীরা ব্যাগে থাকা ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর স্থানীয়রা আব্দুল মমিন শাহিনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন আহত আব্দুল মমিন শাহিন ও পরিবারের সদস্যরা।
ঠিকাদার জামাল উদ্দীন নাসির জানান, সাইডে থাকা ম্যানেজার শাহিনকে গেল ১০ দিন ধরে নয়ন ১০ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজও নয়নসহ বেশকিছু সন্ত্রাসীরা সাইডে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক তৈরি করে ম্যানেজারকে লোহার রড় দিয়ে বেধরক পিটিয়ে তার কাছে থাকা ৪ লাখ ৭০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
আহত শাহিনের পরিবারের দাবি অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর শাস্তি প্রদান করবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে অভিযুক্ত নয়ন জানান, এটা রাজনৈতিকভাবে আমাকে ফাসানো হচ্ছে। এগুলো সম্পূণ মিথ্যা ভিত্তিহীন
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।