নিউজ ডেস্ক:
নিরাপত্তা বাহিনীর উন্নয়নে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র যেসব অনুদান দিয়েছে তা কোন কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে তার তথ্য ওয়াশিংটনকে দিতে আপত্তি নেই ঢাকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সোমবার তার দফতরে দৈনিক সময়ের আলোর এই প্রতিবেদককে এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন গত ১০ ডিসেম্বর দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত এলিটফোর্স র্যাবের বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তার আগে ১ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন জানায়, এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্র যত ধরনের অনুদান দিয়েছে, তা কোন কোন খাতে ব্যয় হয়েছে তার হিসাব দিতে হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে অনুদান পাওয়ার জন্য লিহেই আইন মেনে চলতে হবে- এই মর্মে চুক্তি করতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শুনেছি, আমাদের দেশের কিছু এনজিও যারা বিদেশি পয়সায় চলে তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে র্যাব নিয়ে অভিযোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার কীভাবে এটা বিশ^াস করল সেটা আমার কাছে তাজ্জব মনে হয়। সো আই ডোন্ট নো, আমেরিকান সরকার নিশ্চয়ই তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। তবে তারা স্বচ্ছতার ভিত্তিতে যদি খারাপ প্রতিষ্ঠানকে এ রকম নিষেধাজ্ঞা দিত তা হলে ভালো ছিল। আমেরিকা আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু। আমার বিশ^াস তারা এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।’
নিরাপত্তা খাতে এখন থেকে অনুদান পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের লিহেই আইনের ধারা অনুযায়ী অনুদানের ব্যয়ের সব তথ্য ওয়াশিংটনকে জানাতে হবে। বাংলাদেশ কী এ আইন মেনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভবিষ্যতে অনুদান নেবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘এটা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের রুটিনকাজ। আমেরিকান সরকার বিদেশে যে অর্থ পাঠায় তাদের করদাতারা ওই অর্থ খরচের হিসাব জানতে চায়। আমাদের দেশের করদাতাদেরও জানা উচিত, তাদের করের অর্থ কোন কোন খাতে খরচ করা হয়। ওদের দেশের কংগ্রেসম্যান একটি আইন পাস করেছে, আমেরিকানরা যেখানে টাকা দেবে, বিশেষ করে অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে, সেগুলো এমন প্রতিষ্ঠানকে দেবে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত নয়। সেটাই তারা চেয়েছে, এটা পুরনো বিষয়, নতুন কিছু নয়। এখন মিডিয়া এটা বড় করে দেখাচ্ছে। আমরা বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে সরকারিভাবে জানাব। আর যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও তাদের হিসাব আছে, কোথায় কত খরচ হচ্ছে, তা তাদের ওয়েবসাইটেও দেওয়া আছে। এখন তারা আমাদের কাছ থেকে জানতে চায়, দেখতে চায়, টালি করে যে আমরা যেটা বলছি সেটা ঠিক আছে কি না।’