ফিচার ডেস্ক
ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।
তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার। ২০ ভাদ্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। ০৪ মহররম ১৪৪০ হিজরি। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
৪৭৬- সবশেষ পশ্চিমা রোমান সম্রাট রোমুলাস অগাস্টাস ক্ষমতা হারান।
১৮৮২- মার্কিন বিজ্ঞানী এডিসন বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা আবিষ্কার করেন।
১৮৮৫- নিউইয়র্কে প্রথম ক্যাফেটেরিয়া চালু হয়।
১৮৮৮- জজ ইস্টমান ক্যামেরার রোল ফিল্ম প্যাটেন্ট করেন।
১৯৩০- লন্ডনে কেমব্রিজ থিয়েটার চালু হয়।
১৯৪৫- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ওয়েক দ্বীপের জাপানি সৈন্যরা আত্মসমর্পণ করে।
১৯৭২- মিউনিখের অলিম্পিক গণহত্যা। ইসরায়েলি অ্যাথলেটদের ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসীরা জিম্মি করে এবং হত্যা করে।
জন্ম
১৯০৬- নোবেলজয়ী চিকিৎসাবিজ্ঞানী ম্যাক্স ডেলবুর্ক।
১৫৬৩- চীনা সম্রাট ওয়াংলি।
১৮৪৬- মার্কিন স্থপতি ড্যানিয়েল বার্নহ্যাম।
১৮৯০- বাঙালি সাহিত্যিক এস ওয়াজেদ আলী।
পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায় তার জন্ম। একজন উদার ও প্রগতিশীল ব্যক্তিত্ব ছিলেন। মননশীল চেতনা, ইতিহাস ও নীতিজ্ঞান এবং সত্য ও সুন্দরের মহিমায় তার সাহিত্যকর্ম সমৃদ্ধ। তার স্বপ্ন ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। লেখক হিসেবে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রম্যরচনা ও ভ্রমণকাহিনী রচনায় তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। তার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে, প্রবন্ধ জীবনের শিল্প (১৯৪১), প্রাচ্য ও প্রতীচ্য (১৯৪৩), ভবিষ্যতের বাঙালি (১৯৪৩), আকবরের রাষ্ট্র সাধনা (১৯৪৯), মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ, গল্প গুলদাস্তা (১৯২৭), মাশুকের দরবার (১৯৩০), বাদশাহী গল্প (১৯৪৪), গল্পের মজলিশ (১৯৪৪), উপন্যাস গ্রানাডার শেষ বীর (১৯৪০), ভ্রমণকাহিনী পশ্চিম ভারত (১৯৪৮), মোটরযোগে রাঁচী সফর (১৯৪৯) প্রভৃতি।
১৯০৮- জার্মান জীববিজ্ঞানী, চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী ম্যাক্স ডেলব্রুক।
১৯২৭- মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী জন ম্যাক্কার্থি।
১৯৩৪- নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ক্লিভ গ্রাঞ্জার।
মৃত্যু
২০০৬- অস্ট্রেলিয়ান প্রকৃতিবাদী ও টিভি ব্যক্তিত্ব স্টিভ আরউইন।
২০১১- বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী, সুরকার ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগঠক অজিত রায়।
২০১২- ভারতীয় বাঙালি লেখক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ।
মুর্শিদাবাদ জেলার খোশবাসপুর গ্রামে ১৯৩০ সালের ১৪ অক্টোবর তার জন্ম। বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ নিজেকে ‘বক্তব্যজীবী লেখক’ পরিচয় দিলেও তিনি ছিলেন গভীর জীবনবাদী, রসজ্ঞ কথাশিল্পী। অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, প্রফুল্ল রায়, শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রমুখ ঔপন্যাসিকের তিনি সমকালীন, অথচ স্বতন্ত্র প্রতিভায় উজ্জ্বল। তার জীবনবোধে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইসলাম ও হিন্দু সংস্কৃতির ভাস্কর্য মেলবন্ধন ঘটেছে।
নিজের ‘ইন্তি, পিসি ও ঘাটবাবু’, ‘ভালোবাসা ও ডাউনট্রেন’, ‘তরঙ্গিনীর চোখ’, ‘জল সাপ ভালোবাসা’, ‘হিজলবিলের রাখালেরা’, ‘নৃশংস’, ‘রণভূমি’, ‘মাটি’, ‘উড়োপাখির ছায়া’, ‘রক্তের প্রত্যাশা’, ‘মানুষের জন্ম’, ‘মৃত্যুর ঘোড়া’, ‘গোঘ্ন’, ‘রানীরঘাটের বৃত্তান্ত’ ইত্যাদি অসংখ্য ছোটগল্পের জন্য তিনি বিশ্বসাহিত্যের দরবারে স্থায়ী আসন পেয়েছেন।