নিউজ ডেস্ক:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারত সরকার ওড়োকান্দিতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করবে। এছাড়াও প্রযুক্তিগত শিক্ষা বাড়াতে স্কুলগুলো আপডেট করবে। শনিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দ্বিতীয় দিনের সফরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়িতে মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, এখন বিশ্ব যে শিক্ষায় পথ চলছে। শ্রী শ্রী হরিচাঁদ সবসময় আধুনিক চিন্তার সমর্থন করেছেন। যখন মহামারীর সংকট শুরু হয়েছে তখন বলা হয়েছে এখানে আপনারা সকলে প্রযুক্তির ব্যবহার করেন, অনলাইনে কীর্তন করেন এতে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। এতে দেখা যায় শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রেরণা, শিক্ষা আমাদের সমস্যার সমাধানে সহযোগিতা করে। তার শিক্ষা গরিব, অসহায়দের এক করে কাজ করতে বলে। প্রত্যেক ভারতবাসীর সৌভাগ্য বাংলাদেশে শ্রী শ্রী হারিচাঁদ ঠাকুরের শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরেও বলেন, অস্থির পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনে কাজ করছে ভারত-বাংলাদেশ। ভারত ও বাংলাদেশ নিজেদের বিকাশ ও নিজেদের প্রগতির চেয়ে সমগ্র বিশ্বের উন্নতি দেখতে চায়। উভয় দেশই পৃথিবীতে অস্থিরতা, সন্ত্রাস এবং অশান্তির পরিবর্তে স্থিতিশীলতা, প্রেম এবং শান্তি চায়।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি পৌঁছান। এসময় তাকে উলুধ্বনি, শঙ্খ ও ডঙ্কা-কাঁসা বাজিয়ে বরণ করে নেন ঠাকুর বাড়ির মতুয়ারা। সেখানে তিনি পূজা-অর্চনা করেন।
নরেন্দ্র মোদি টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছালে সেখানে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সমাধি পরিদর্শনের পাশাপাশি সেখানে একটি বকুল ফলের গাছ রোপণ করেন মোদি। পরে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন তিনি।