শনিবার , ডিসেম্বর ২১ ২০২৪
নীড় পাতা / আইন-আদালত / ওসি প্রদীপের বিচার চেয়ে মানববন্ধন

ওসি প্রদীপের বিচার চেয়ে মানববন্ধন

নিউজ ডেস্ক:
মানববন্ধনে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী বলেন, ‘টেকনাফে সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ যে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে তার ফল ভোগ করছে টেকনাফে হাজার হাজার পরিবার। তারা আজ পথে পথে। অনেক নারী হারিয়েছে স্বামী এবং ছেলে-মেয়ে হারিয়েছে বাবা। আর অনেক মা-বাবা হারিয়েছে ছেলে।’

কক্সবাজারে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় লোকজন।

জেলা আদালত প্রাঙ্গণে শত শত মানুষ উপস্থিত হয়ে সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ মানববন্ধন করেন।

এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী।

তিনি বলেন, ‘টেকনাফে সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ যে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে তার ফল ভোগ করছে টেকনাফে হাজার হাজার পরিবার। তারা আজ পথে পথে। অনেক নারী হারিয়েছে স্বামী ও ছেলে-মেয়ে হারিয়েছে বাবা। আর অনেক মা-বাবা হারিয়েছে ছেলে।

‘হাজারো নিরীহ মানুষকে মামলায় জড়িয়েছে, আজ তারা সমাজ থেকে বিতাড়িত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক নির্মূলে যে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন তার একটি আলাদা ফরমুলা চাই।’

দেশে মাদক নির্মূলের নামে কেউ যেন ক্রসফায়ার বাণিজ্য করতে সাহস না পায়, যে জন্য সিনহা হত্যার বিচারের মধ্য দিয়ে নির্যাতিত জনগণের দীর্ঘদিনের আক্ষেপ পূরণের দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ওসি প্রদীপের নির্যাতনের শিকার শত শত পরিবারের নারী ও শিশুসহ স্থানীয় লোকজন।

ওসি প্রদীপের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপের বিচার চেয়ে আদালত প্রাঙ্গণে মানববন্ধনে নারী ও শিশুরা। ছবি: নিউজবাংলা

সোমবার সকাল থেকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শুরু হয়েছে মেজর সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।

সময়মতো সাক্ষীরা আদালতে হাজির হয়েছেন বলে আদালতের একটি সূত্র নিশ্চিত করে। সোমবার থেকে শুরু হয়ে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে সাক্ষ্যগ্রহণ।

এ সময়ে মামলার ১ থেকে ১৫ নম্বর সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেবেন। এ জন্য প্রধান আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ আসামিকে আদালতে আনা হয়েছে।

সিনহা হত্যা

২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে মেজর সিনহা নিহত হন পুলিশের গুলিতে। টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকতসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসী।

পরে গ্রেপ্তার করা হয় ঘটনার সময় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের তিন সদস্যসহ পুলিশের তিন সোর্সকে।

চার মাসেরও বেশি সময় তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাব।

এর মধ্যে ১২ আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গত ২৭ জুন মামলার ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

সূত্র: নিউজ বাংলা ২৪

আরও দেখুন

লালপুরে কুরেছান বেগমের ইন্তেকাল 

নিজস্ব প্রতিবেদক লালপুর,,,,,,,,,,,,,,দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার নাটোরের লালপুর প্রতিনিধি ও মডেল প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাহীন …