নিউজ ডেস্ক:
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ায় দেশটির সঙ্গে আবারও সীমান্ত, বিশেষত বেনাপোল স্থলবন্দর বন্ধের কথা ভাবছে সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানিয়েছেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যে হারে ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে বেনাপোল স্থলবন্দর বন্ধ করতে হয় কি না তা নিয়ে ভাবছি। আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ বা বিস্তারে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।
‘আমরা আজও (সোমবার) আলাপ করছিলাম যে আমাদের সভা করা দরকার। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে বেনাপোল বর্ডার বন্ধ করতে হয় কি না তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। আশা করছি পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভালো পরামর্শ দিতে পারবে।’
র্যাবের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিনকেনকে লেখা চিঠির জবাবের অপেক্ষায় আছেন বলে জানান ড. মোমেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। কোনো কোনো দেশ আমাদের ওপর (বাংলাদেশ সরকার) অসন্তুষ্ট। আমরা তার কারণ খুঁজছি, তাদের অসন্তোষ দূর করার চেষ্টা করছি। আমাদের বেসিক প্রিন্সিপাল- কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব। আমরা এটা মেনেই কাজ করছি। আমরা সেই নিরপেক্ষ পলিসিটা ধরে রাখতে চাই। আমরা সবার সঙ্গে আরও বেশি করে সম্পৃক্ত হতে চাই।
‘কিছু কিছু দেশ কী কারণে অসন্তুষ্ট ,সেটি আমরা রেকটিফাই করার চেষ্টা করব। তারা কোনো মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে আমরা তাদের সত্য তথ্য দিয়ে বোঝাব। আশা করি তারা আমাদের ঝুঝবে। কারণ ওই সব দেশের নেতৃত্বের পরিপক্বতা রয়েছে। তারা দায়িত্বশীলও বটে। তা ছাড়া আমরা আমাদের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে তা সংশোধনের চেষ্টা করব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বড়দিন ও নিউ ইয়ারের ছুটি শেষে সোমবারই প্রথম অফিস খুলেছে। আমার পাঠানো চিঠি ইতিমধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে গেছে। দেখি কী জবাব আসে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পাবলিকলি যা বলেছি, চিঠিতেও তা-ই লিখেছি। আমরা তাদের জবাবের অপেক্ষায় আছি। আশা করি তাদের জবাবে পজিটিভ কিছু আসবে। আমরা এ নিয়ে আশাবাদী।’
বিগত বছরকে বাংলাদেশের বড় অর্জন এবং সাফল্যের বছর উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সেটি ধরে রাখার চেষ্টা করব। বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোয় সেবা ও অন্যান্য কার্যক্রমে ইতিবাচক অনেক পরিবর্তন এসেছে। মিশনগুলোয় দুর্নীতির প্রশ্নে শেখ হাসিনার সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। আমি বলব- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতির প্রমাণ হয় আমরা তাদের স্ট্রেইট বের করে দেব। এখানে দুর্নীতিবাজদের কোনো স্থান হবে না।’