মালেক শেখ
আজ ঐতিহাসিক ২৩ জুন। দৈবক্রমে আনন্দ বেদনার ক্ষণ! আজকের এই দিনটি বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন।
১৭৫৭ সালের এই দিনটিতে ভারতের ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশীর আম্রকাননে বাংলার কিছু বিবেকহীন, ক্ষমতালোভী ও বর্বর নরপিশাচদের (লর্ড ক্লাইভ, মীরজাফর, রায়দুর্লভ, ঘষেটি বেগম, ইয়ার লতিফসহ আরও অনেকেই) ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, স্বাধিকার ও সার্বভৌমত্বের রঙ্গিন সূর্য্য ২১৪ বছরের জন্য অস্তমিত হয়েছিল। যদিও ১৭৫৭ সালের ১৯০ বছর পর ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট বাংলাদেশের ঘাড় থেকে একটি কুৎসিত দানব(ব্রিটিশ) অপসারিত হয় কিন্তু ঐ দানবেরই উত্তরসূরি আরেকটি কুখ্যাত দানবকে(পাকিস্তান) আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল।
আরেকটি ২৩ জুন ১৯৪৯, কুখ্যাত দানব পাকিস্তানকে বিতাড়িত করতে, ঢাকার টিকাটুলির কে এম দাস লেনের হুমায়ুন সাহেবের বাড়ি ‘রোজ গার্ডেনে’ প্রতিষ্ঠা লাভ করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ তথা বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। যার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শুরু হয় স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সূচনা সংগ্রাম। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা ও রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্যারিশম্যাটিক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬৬’র ছয়দফা, ৬৯’র গণ অভ্যুত্থান, ৭০’র সাধারণ নির্বাচনসহ সর্বশেষ ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পাই নিজেদের, একান্তই নিজেদের একটি দেশ, স্বাধীন বাংলাদেশ! যদিও ৭৫’র কালো অধ্যায়ের কারণে দলটি একটি বিশাল বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। তারপরেও ১৯৮১ সালে একটি দুর্যোগকালীন মূহুর্তে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা দলটির হাল ধরেন এবং সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। সেই ২৩ জুন ১৯৪৯ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজও দেশের নানা দুর্যোগ, বিপর্যয় ও সংকটকালীন মূহুর্তে বাংলার আপামর জনসাধারণের পাশে থেকেছে, এখনও আছে, বদলায়নি একটুও! এই কারণেই হয়তো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক মরহুম জননেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন- “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি দল নয় একটি অনুভূতির নাম”
লেখক:
এড. আব্দুল মালেক শেখ
সাংগঠনিক সম্পাদক
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ
ও
সাধারণ সম্পাদক
নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতি।