সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে চলতি মাসেই শুরু হতে যাচ্ছে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম। সম্ভাব্য ১৮ ডিসেম্বের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেবার উদ্বোধন করবেন।
এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, অনেক দিনের প্রত্যাশিত ই-পাসপোর্ট সেবা পেতে যাচ্ছে নাগরিকরা। এরই মধ্যে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ ডিসেম্বর। এদিন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের স্পিকারের হাতে প্রথম ই-পাসপোর্ট দেয়া হবে। ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। এ পাসপোর্ট চালুর জন্য জার্মানির সরকারি প্রতিষ্ঠান ভেরিডোজের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে অনেক আগেই। তাদের কারিগরি সহযোগিতায় ই-পাসপোর্ট চালু হতে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকার আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা ও সেনানিবাস-এই চারটি অফিস থেকে ই-পাসপোর্টের সুবিধা পাবেন পাসপোর্ট গ্রহীতারা। পর্যায়ক্রমে এটির কার্যক্রম ঢাকার বাইরে আঞ্চলিক অফিসগুলোতেও চালু হবে।
এছাড়া বিদেশে বাংলাদেশের প্রায় ৭০টি মিশনে ই-পাসপোর্ট পর্যায়ক্রমে চালু হবে। দুই ক্যাটাগরির ই-পাসপোর্ট চার ধরনের ফি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে জরুরি ও অতি জরুরি। মেয়াদ পাঁচ ও ১০ বছর।
২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ই-পাসপোর্ট তৈরির কাজ শুরু হয়। জার্মানির সরকারি ভেরিডোজ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বহিগর্মন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, জার্মান কোম্পানি ৩০ লাখ ই-পাসপোর্ট বই সরবরাহ করবে।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে গতকাল বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সোহায়েল খান বলেন, আমরা ই-পাসপোর্ট চালু করার সব কাজ সম্পন্ন করেছি। ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করার জন্য আগামী ১৬, ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বরের যে কোন একদিন তারিখ চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি। সে অনুযায়ী ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করা হবে।
তিনি বলেন, ই-পাসপোর্ট ও এমআরপি দুটিই চালু থাকবে। নাগরিকরা যে ধরনের পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবে, তাদের সেই পাসপোর্টই সরবরাহ করা হবে।
বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ই-পাসপোর্টের আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়ন করতে হবে না। এমনকি ছবি সংযোজন ও তা সত্যায়ন করারও দরকার হবে না। তবে পাসপোর্ট পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি লাগবে।