‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের হাতে এ বছর প্রায় ৩৫ কোটি বই তুলে দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।’
শিক্ষার্থীদের হাতে এ বছর প্রায় ৩৫ কোটি বই তুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শুক্রবার দুপুরে খুলনার দাকোপ উপজেলার বাজুয়া সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিগত সরকারগুলো দেশের উন্নয়নে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু করেনি। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের হাতে এ বছর প্রায় ৩৫ কোটি বই তুলে দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে শিক্ষার গুণগত মানকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে শিক্ষক-অভিভাবকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির পূর্বশর্ত হলো শিক্ষা। শিক্ষার মাধ্যমে তৈরি হয় সৎ, দেশপ্রেমিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সুনাগরিক।
‘শিক্ষার্থীদের নতুন কারিকুলামের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। সে লক্ষ্যে শিক্ষকদের নতুন কারিকুলাম বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষাই অন্যতম হাতিয়ার।’
দীপু মনি বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ, ২০৩০ সালে মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের বর্তমানকে উজাড় করে দিতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সাল বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।
‘দেশের স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ঘাতকচক্রের হাতে ধানমন্ডির নিজ বাসবভনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেই ঘাতকদের চক্রান্ত এখনও থেমে নেই।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাজুয়া সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ও পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহবায়ক শ্যামল রায়। অনুষ্ঠানে সাবেক শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।