নিউজ ডেস্ক:
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এলো আরও ৫৩ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা। এ মাসেই উদ্বোধন করা হবে দ্বিতীয় ইউনিট। বাগেরহাটের রামপাল মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে ওই পরিমাণ কয়লা নিয়ে দেশে এসেছে পানামা পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এমভি জেইল অব শহর’। আমদানি করা এই কয়লার মধ্যে ২৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস করে লাইটার জাহাজে করে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আনা হয়েছে। বাকি ২৯ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে জাহাজটি গতকাল সকাল ৯টায় মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়ায় নোঙর করে। দুপুর থেকে মোংলা বন্দর চ্যানেল থেকে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে এসব কয়লা রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। আমদানি করা এই কয়লা দিয়ে এ মাসেই এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এমভি জেইল অব শহর জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৫৩ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ১৫ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ার মোয়ারাপান্তাই বন্দর থেকে ছেড়ে আসে এমভি জেইল অব শহর নামের জাহাজটি। এক সপ্তাহ আগে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে ২৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা লাইটার জাহাজে খালাস করে। চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস করা কয়লা লাইটার জাহাজে করে ইতোমধ্যে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আনা হয়েছে। বাকি ২৯ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে জাহাজটি গতকাল সকাল ৯টায় মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়ায় নোঙর করেছে।
দুপুর থেকে মোংলা বন্দর চ্যানেল থেকে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে এসব কয়লা রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ার উল আজিম জানান, রামপাল মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে এখন আর কয়লা সংকট নেই। এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আরও ৫৩ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা গতকাল সকালে দেশে এসে পৌঁছেছে। এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয় আরও ৪৫ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন কয়লা। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের জন্য বর্তমানে কয়লার কোনো সংকট নেই। আমদানি করা এই কয়লা দিয়ে এ মাসেই ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের রামপাল মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।