নিউজ ডেস্ক: মেধার বিকাশ ঘটিয়ে সুচিকিৎসক গড়তে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাকে প্রশ্নপত্র ফাঁস মুক্ত রাখতে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে মাঠ পর্যায়ে নজরদারি শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অনলাইনেও নজরদারি করছে বিশেষ সাইবার সেল। তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সচেতন হলে সরকারের সকল আয়োজন সফল হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় যেকোনো ধরণের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা রুখতে সক্রিয় রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মেধার পূর্ণ বিকাশ ঘটিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের এমবিবিএস কোর্সে লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টিতে অনিয়মকারীদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। পরীক্ষায় কোনো প্রকার প্রশ্ন ফাঁস কিংবা প্রশ্ন ফাঁসের গুজব রুখতে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। নকলমুক্ত পরীক্ষা আয়োজনে তীক্ষ্ণ গোয়েন্দা নজরদারি বসানো হয়েছে। তাই কোনোভাবে প্রশ্ন ফাঁস করা সম্ভব নয় বলে মনে করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সচেতন হলে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীরা নিরুৎসাহিত হবে এবং জাতি নকল ও প্রশ্ন ফাঁসের মতো ব্যাধির হাত থেকে মুক্তি পাবে বলেও আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রশ্ন ফাঁস মুক্ত পরিবেশে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এবারের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় আমরা একেবারে নকল ও প্রশ্ন ফাঁস মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা শেষ করতে নানা ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছি। পূর্বের চাইতে এবার আমরা আরো কঠোর অবস্থানে রয়েছি। তাই প্রশ্ন ফাঁস বা তার গুজব ছড়ালে জড়িতরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়বে।। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তাই এমন ন্যক্কারজনক কাজের সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে কেউ রেহাই পাবে না। ফেসবুকসহ ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের গুজব রোধে সাইবার নজরদারি করা হচ্ছে। কোনভাবেই কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সকল অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সহায়তাও প্রয়োজন। আশা করি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা সচেতন হবেন এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রগুলোর প্রতারণার ফাঁদে পা দেবেন না।