সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা: প্রশ্নপত্র তৈরিতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা: প্রশ্নপত্র তৈরিতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী

নিউজ ডেস্ক: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ব্যাপক সতর্ক অবস্থান নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, আগামী ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সারা দেশের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র এখন থেকে প্রেসে ছাপা হবে না। কম্পিউটারে বিশেষ ধরণের সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রশ্নপত্র তৈরি হবে। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও প্রিন্ট দেয়ার সময় বাইরের কোনো লোক থাকবে না। শুধু প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কমিটির হাতেগোনা চার-পাঁচজন লোক সে সময় উপস্থিত থাকবেন।

এছাড়া, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আবেদনকারী প্রত্যেকের জন্য এক সেট করে প্রশ্ন প্রণয়ন করা হবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর জন্য প্রশ্ন হবে ভিন্ন। ১০০টি প্রশ্ন থাকলেও কোন প্রশ্ন যে কোথায় বা কত নম্বরে থাকবে তা কোনো পরীক্ষার্থী বুঝতে পারবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানান, প্রশ্নপত্র প্রেসে ছাপানোর বদলে কম্পিউটারের বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে তৈরি ও প্রিন্ট দেয়ার বিষয়টি এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় এবার প্রথম হলেও তারা ইতোমধ্যে ডেন্টাল, মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ও ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) ভর্তি পরীক্ষায় এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে সফলতা এসেছে। গত বছর এমবিবিএস পরীক্ষা এ পদ্ধতি প্রবর্তনের কথা থাকলেও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত প্রেসেই প্রশ্নপত্র ছাপা হয়।

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, প্রেসে প্রশ্নপত্র ছাপা হলে বাইরের কমপক্ষে ১০-১৫ জন লোক প্রশ্নপত্র ছাপা, বাঁধাই ও সেলাইয়ের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন। সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করা সত্ত্বেও তাদের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। এ সব কারণেই আমরা প্রেসের বদলে কম্পিউটার সফটওয়্যারে প্রশ্নপত্র ছাপানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণের জন্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে সব ধরণের মেডিকেল কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ালে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে এক বিশেষ সতর্কবার্তায় জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) প্রফেসর ডা. এ কে এম আহসান হাবিব স্বাক্ষরিত বিশেষ বার্তায় বলা হয়, শতভাগ স্বচ্ছতা, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা করে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের কার্যক্রম চলছে।

আরও দেখুন

পিরোজপুরে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে দিনব্যাপীপ্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:  ১৩ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ঢাকা: মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে পিরোজপুরের …