আগামী ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা। এদিকে, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাকে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করতে সকল ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
জানা গেছে, এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষাকে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নকলমুক্ত করতে এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চলছে সাইবার টহল। এছাড়া ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, ভাইভারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। প্রশ্ন ফাঁস কিংবা প্রশ্ন ফাঁসের গুজব রুখতে কোনো রকমের ছাড় দিতে রাজি নয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। মেধার বিকাশ ও সুচিকিৎসক গড়ে তুলতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে সরকার।
এদিকে আসন্ন মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা বলছেন, পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে সরকারের এমন কড়া নজরদারি থাকলে জাতির মেধার পূর্ণ বিকাশ ঘটবে। যোগ্য ও উপযুক্তরা সঠিক মূল্যায়ন পাবেন।
মেডিকেল পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের প্রশংসা করে ধানমন্ডি-১৫ নম্বর এলাকার ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী মাহিন তালুকদার বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কথা শুনছি। অনলাইনে প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে সরকার সংশ্লিষ্টরা কঠোর নজরদারি করছে বলে জানতে পেরেছি। ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্তে যেকোনো গুজব বা প্রোপাগান্ডা প্রতিরোধে ডিএমপি’র সাইবার ইউনিটসহ অন্যান্য সংস্থা তৎপর রয়েছে। কোনোভাবেই ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম ঘটতে দিবে না সরকার। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সরকারের এসব পদক্ষেপে আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সরকারের পদক্ষেপগুলোকে সাধুবাদ জানিয়ে রাজধানীর লালবাগ এলাকার শামীম মিয়া নামের এক অভিভাবক বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আমার মেয়ে দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করছে। কিন্তু সে মাঝে মাঝে প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে শঙ্কার কথা বলে। তবে বিগত কিছু পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস রোধে সরকারের সফলতায় আমার মেয়ে সন্তুষ্ট। আমাদের বিশ্বাস, গতবারের ন্যায় এবারও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নকল ও প্রশ্ন ফাঁসমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। কারণ এই সরকার সকল ধরণের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এই সরকারের অবদানের শেষ নেই।