বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) করার প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এক হাজার ৭৬৩টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চূড়ান্ত ওই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিলেই এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তির কাজ শুরু হবে।
সূত্র জানায়, নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বশেষ এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল ২০১০ সালে। এরপর থেকে নতুন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও পায়নি। সারা দেশে এমপিওভুক্তির জন্য চূড়ান্ত করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উচ্চমাধ্যমিক কলেজ এবং ডিগ্রি (অনার্স-মাস্টার্স) পর্যায়ের কলেজ। এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয়ে মোট আবেদন জমা পড়েছিল ছয় হাজার ১৪১টি। যাচাই-বাছাই শেষে সব শর্ত পূরণ করে অথবা বিশেষ বিবেচনায় যোগ্য হয়েছে এক হাজার ৭৬৩টি। এমপিওভুক্তির জন্য অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে চার হাজার ৪৯৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
সংশ্নিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, এবার শর্তসাপেক্ষে এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে বেসরকারি নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে। প্রাথমিকভাবে কিছু শর্ত সাপেক্ষে আগামী তিন বছরের জন্য অস্থায়ীভাবে করা হচ্ছে তা। শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে ওইসব প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি স্থগিত হয়ে যাবে। শর্তাবলির অন্যতম হলো, এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিটিকে পাবলিক পরীক্ষায় মোট শিক্ষার্থীর কমপক্ষে ৭০ শতাংশ পাস করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে ওই বছরই সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি স্থগিত হয়ে যাবে।
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৮৬৫ কোটি টাকা। এক হাজার ৭৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হলে তাতে ব্যয় হবে ৭৯৬ কোটি ৪৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। বাকি ৬৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা মন্ত্রণালয়ের হাতে উদ্বৃত্ত থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
৫৫১টি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করতে এক বছরে ব্যয় হবে ১৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। একইভাবে এক হাজার দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য ৪৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ৬৭টি স্কুল অ্যান্ড কলেজের জন্য ৪২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, ৯৪টি উচ্চমাধ্যমিক কলেজের জন্য ৮৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা এবং ৫৩টি ডিগ্রি (অনার্স-মাস্টার্স) পর্যায়ের কলেজের এমপিওভুক্তিতে ২৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয় হবে। মোট ব্যয় হবে ৭৯৬ কোটি ৮৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।