বিনোদন ডেস্ক
গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর। সেখানে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই চিকিৎসকগণ তার শরীরের ব্লাডসহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরীক্ষা করছেন।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) গুণী এই শিল্পীর বায়োপসি করা হয়। এক সপ্তাহের বেশি সময়ের পর শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বায়োপসির রিপোর্ট জানালেন চিকিৎসক। রিপোর্টে এন্ড্রু কিশোরের অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিতে সংক্রমণ (ইনফেকশন) ধরা পড়ে, যা ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণও বটে। তবে ক্যান্সারে আক্রান্ত তা বলা যায় না। আর এই প্রাথমিক শঙ্কা দূর করতে এরই মধ্যে কেমোথেরাপি দেওয়া শুরু করেছেন চিকিৎসক। গুণী এই শিল্পীর বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এ তথ্য দিয়েছেন তারই ঘনিষ্ঠজন-শিষ্য মোমিন বিশ্বাস।
এ প্রসঙ্গে মোমিন বিশ্বাস বলেন, ‘রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সিঙ্গাপুর সময় বিকেল ৫টায় দাদাকে প্রথম কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছে। বায়োপসি পরীক্ষার মাধ্যমে শুধু অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিতেই সমস্যা ধরা পড়েছে। এমনিতেই আর কোনো জটিল সমস্যা নেই। ক্যান্সারও যে ধরা পড়েছে, তা কিন্তু নয়। প্রাথমিক একটা লক্ষণ পাওয়া গেছে। কয়েকটি কেমোথেরাপির দিলেই এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। তবে কয়টি কেমোথেরাপি দিতে হবে তা এখনো নিশ্চিত করে জানাননি চিকিৎসক।’
অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি (যেখান থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হরমোন উৎপন্ন হয়) খানিকটা বড় হয়ে যাওয়ায় এন্ড্রু কিশোরের শরীরের ওজন কমতে থাকে। যে কারণে তার শরীর ভেঙে যাওয়াসহ বেশকিছু সমস্যা দেখা দেয়। এর চিকিৎসার জন্য গত ৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন এন্ড্রু কিশোর। ১১ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন।
সম্প্রতি অসুস্থতার খবর পেয়ে এন্ড্রু কিশোরকে গণভবনে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে সমস্ত শিল্পীদের জন্য একটা স্থায়ী ফান্ড গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে প্রস্তাব দেন এন্ড্রু কিশোর। প্রধানমন্ত্রী এই কাজটি করবেন বলে তাকে আশ্বস্ত করেন। আর এন্ড্রু কিশোরকে ভালো চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকার একটা চেক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু গুণী এই শিল্পী চেকটা নিতে অনীহা প্রকাশ করেন। অতঃপর এটি সাহায্য বা অনুদান নয়, ছোট ভাইয়ের প্রতি বড় বোনের দায়িত্ব বলে এন্ড্রু কিশোরকে চেকটা দেন প্রধানমন্ত্রী।