নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর:
নাটোরের গুরুদাসপুরে জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশনের সদস্য খুবজীপুরের রেশমা বেগমের ব্যাংকের চেক ও জমানো টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে ওই এনজিও কর্মিরা তাকে টেনে হেচরে লাঞ্চিত করেছে। এঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় অভিযোগ দিয়েছেন রেশমা বেগমের ভাই শিবলু।
রেশমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী এক বছর আগে বিদেশ যাওয়ার সময় জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নেন। করোনা চলা কালীন তিনি ঋণের সমুদয় টাকা পরিশোধ করেন। তারা আশ্বাস দেন তাকে এবার আড়াই লাখ টাকা ঋণ দেবে। আজ নয় কাল বলতে বলতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভাইসহ তাকে বসিয়ে রাখে। অবশেষে বেলা দেড়টার দিকে তাকে ঋণ দেয়া হবেনা বলে জানান ওই অফিসের জাকির স্যার।
তিনি তার জমা দেয়া ইসলামী ব্যাংকের একটি স্বাক্ষরিত সাদা চেক ও তার জমানো ১৫ হাজার ৭০টাকা ফেরত চাইলে বাক-বিতন্ডা এক পর্যায়ে অফিস থেকে বেড়িয়ে রাস্তায় আসলে তারা তার ভাইসহ তাকে জোড় পূর্বক টেনে হেচড়ে অফিসের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে পথচারিরা তাদের উদ্ধার করে।
তিনি আরো বলেন, তার ভাই শিবলুর ফ্রিজ-টিভির শোরুম করার জন্য কোম্পানিতে ৫ লাখ টাকা জমা দিয়েছে। এটাকা নিয়ে আরো ২লাখ টাকা সেখানে জমা দিতে হবে। ঋণ না পাওয়ায় কোম্পানিতে আর টাকা দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে কোম্পানি জমা দেয়া ওই টাকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিবে। এতে তার ভাই সব হারিয়ে এখন পথে বসে য়াওয়ার শংকায় রয়েছেন তিনি। তাদের সাথে এ আচরনের জন্য থানা ও ইউএনও বরাবর অভিযোগ দেবেন বলে তিনি বলেন।
ইতোপূর্বে উপজেলার বামনকোলা গ্রামের আঃ খালেকসহ বহু হতদরীদ্র মানুষের সাথে ওই এনজিও কর্মিরা এমন আচরণ করেছেন বলে জানা গেছে। সরকারি আদেশ অমান্য করে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও অসহায় মানুষের কাছ থেকে তারা জবরদস্তী কিস্তি আদায় করছেন বলেও বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই অফিসে আসা সদস্যরা জানান।
জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, তার কোন কর্মী এমন আচরণ করেননি। ঋণ দেয়ার কথা থাকলেও তাকে আর ঋণ দেয়া হবেনা। কিস্তি আদায়ে কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছেনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন এ বিষয়ে বলেন, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন ঋণের কিস্তি আদায়ে জবরদস্তী করা যাবেনা। সরকারের এ আদেশ অমান্য করে থাকলে সে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।