রাজিব আহম্মেদ (ছদ্দনাম) ঢাকা একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করে। এনআইডিতে সামান্য ভুল থাকায় তা সংশোধনের জন্য বেশ কয়বার উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও নানা কাজের চাপে আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি। কিন্তু আইডিটি সংশোধন না করার কারণে প্রায়ই তাকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তিনি চান অন্যান্য সেবার মত এটিও হাতের নাগালে যেন পাওয়া যায়। সেইসাথে কোথায় কিভাবে কোন কাজ করতে হবে এ সম্বন্ধেও জানত না রাজিব।
এমন কিছু নাগরিকের কথা চিন্তা করে তাদের দুর্ভোগ কমাতে ২০১৫ সালে প্রথমে স্বল্প পরিসরে হেল্পলাইন “১০৫” সেবা প্রদান শুরু করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ফলে এনআইডি সংক্রান্ত সকল তথ্যসেবা হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। রাজিব আহম্মেদের মত অনেকেই বাসায় বা অফিসে বসে এনআইডি সংক্রান্ত তথ্য পেতে শুরু করে ২০১৫ থেকেই।
জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন, হারানো, এনআইডি তোলাসহ সব ধরনের সমাধান “১০৫” নম্বরে কল দিলেই পাওয়া যাবে। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ফোন করে এ সেবা পাওয়া যাবে। এবছরই “১০৫” এর পাশাপাশি অনলাইন এনআইডি সেবা প্রদান শুরু করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ফলে যে কোন ভুল তথ্য যাচাই বাছাই এবং নতুন আইডির আবেদন সহ সকল ধরণের সেবা প্রদান শুরু করে। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে সরকারের এই উদ্যোগ ছিলো প্রশংসা পাওয়ার মত। এর মাধ্যমে ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে আরক ধাপ এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
ধীরে ধীরে বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশনের যুগে প্রবেশ করছে। প্রতিটি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আধুনিকরন করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি টেলিযোগাযোগ খাত ও ডিজিটাইজেশনে বাংলাদেশের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে আইটিইউ টেলিকম ওয়ার্ল্ড ২০১৯-এর দু’ট পুরস্কার গ্রহণ করেছেন।