‘যে জলে আগুন জ্বলে’ কাব্যগ্রন্থে ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ কবিতায় কবি হেলাল হাফিজ লিখেছিলেন, ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’। সময়ের প্রেক্ষিতে বিখ্যাত এই কবিতার পঙক্তি কিছুটা বদলে দিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। করোনাভাইরাসের ছোবল ঠেকাতে সবাইকে ঘরে থাকার আহবান জানিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
আজ সোমবার নিজের স্বীকৃত ফেসবুক পাতায় মাশরাফি একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে লেখা আছে, ‘এখন যৌবন যার, বাসায় থাকার তার শ্রেষ্ঠ সময়/এখন যৌবন যার দেশকে বাঁচানোর তার শ্রেষ্ঠ সময়’।
নড়াইল-২ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ মাশরাফি নিজ এলাকাতেও ঘুরে ঘুরে চালাচ্ছেন প্রচারণা, বাড়াচ্ছেন মানুষের মধ্যে সচেতনতা। গেল বৃহস্পতিবার আরেকটি ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচে গ্যালারি থেকে একজন দর্শক এসে জড়িয়ে ধরেছিলেন মাশরাফিকে। সেই ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘এভাবে আর কাউকে জড়িয়ে ধরা যাবে না।’
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে কী কী করা যাবে না তার একটা লম্বা তালিকাও দেন মাশরাফি।
সবাইকে সতর্ক করতে প্রচারণা চালাচ্ছেন অন্য ক্রিকেটাররাও। দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে দেখা না করে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে আছেন সাকিব আল হাসান। খেলা না থাকলেও অনুশীলনে বরাবরই নিয়মিত মুখ মুশফিকুর রহিম। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনিও স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী রেখেছেন নিজেকে। কেউ কেউ বাসার ছাদে চালাচ্ছেন ফিটনেস ট্রেনিং।
অনেক ক্রিকেটারই ঢাকার বাইরে নিজেদের গ্রামের বাড়ি ফিরে গেছেন। ঢাকায় থাকা ক্রিকেটাররাও বের হচ্ছেন না বাসা থেকে। ভক্ত-সমর্থকদেরও বাসা থেকে না বের হওয়ার পরামর্শ তাদের।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে থমকে গেছে জনজীবন। বাঁচার প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দেওয়ায় স্তব্ধ হয়ে গেছে বিনোদনের সব মাধ্যম। পৃথিবীর সমস্ত খেলাধুলাই এখন বন্ধ।