নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের গুরুদাসপুরে মৃত স্বামীর সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় বৃধবা নারী ও তার মেয়েকে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে উপজেলার নারায়নপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় চার জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিধবা নারী মনজুয়ারা বেগম (৪৫) নারায়নপুর গ্রামের মৃত-শুকুর প্রামানিকের স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে ও মনজুয়ারা বেগম জানান,‘তার স্বামী আনুমানিক ২০ দিন পূর্বে মৃত্যু বরণ করেছেন। প্রতিবেশী মোবারক হোসেনের জায়গার ওপর নিজেরাই ঘর তুলে ভাড়ায় বসবাস করছিলেন দীর্ঘদিন যাবৎ। মৃত্যুর পূর্বে তার স্বামী মোবারক হোসেনের মেয়ের কাছ থেকে এক হাজার টাকা সূদের ওপর নিয়েছিলেন তা তার জানা ছিলোনা। স্বামী মারা যাওয়ার ২০ দিন পরে মোবারকের মেয়ে তার কাছে চার হাজার টাকা চায়। কিসের টাকা পাবেন তিনি জিজ্ঞেস করলে মোবারকের মেয়ে ইতি জানায়, তার স্বামী বেঁচে থাকাকালিন এক হাজার টাকা এক মাসের জন্য সূদের ওপর নিয়েছিলেন। সেই টাকা’র আসল ও সুদ মিলিয়ে চার হাজার টাকা এখন তাকে দিতে হবে। তিনি হতদরিদ্র নারী। কোনরকমে একটা মেয়ে ছিলো সেই মেয়েকে বিবাহ দিয়েছেন। সেই মেয়ে টাকা’র কথা শুনে তার বাড়িতে এসেছিলেন। সোমবার সকালে সুদের টাকা’র জন্য চাপ সৃষ্টি করলে তিনি পনেরেশো টাকা দিতে রাজি হন। কিন্তু তারা চার হাজার টাকাই নিবে। এনিয়ে বাকবিতন্ডের একপর্যায়ে তাকে এবং তার মেয়ে সুজাতাকে মোবারকের ছেলে মামুন হোসেন, স্ত্রী বাজু বেগম ও বড় মেয়ে মর্জিনা বেগম মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তিনি এর আইনগত ভাবে বিচার দাবি করেছেন।’
এ দিকে মোবারক হোসেন সূদের টাকা নিয়ে মারধরের বিষয়ে অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন,‘তার অজান্তে তার ছোট মেয়ে ইতি মৃত শুকুর প্রামানিক বেঁচে থাকা কালিন এক হাজার টাকা হাওলাত দিয়েছিলো। সেই টাকা চেয়েছিলো। মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।’
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক শারমিন আক্তার জানান,‘মুঞ্জুয়ারার মেয়ে সুজাতাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখা হয়েছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তবে খুব গুরুত্বর নয়।’
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ওসি মোঃ উজ্জল হোসেন বলেন,‘অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’