নিউজ ডেস্ক:
দেশে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে তাৎক্ষণিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন চালু হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থাপিত রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট বা আরটিজিএসের মাধ্যমে এ লেনদেন অনলাইনে নিষ্পত্তি হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মার্কিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, কানাডিয়ান ডলার ও জাপানের ইয়েনে পদ্ধতিতে ক্লিয়ারিং ও নিষ্পত্তি করছে ব্যাংকগুলো।
এতদিন মার্কিন ডলার, যুক্তরাজ্যের পাউন্ড, ইউরো, কানাডার ডলার ও জাপানের ইয়েন—এই পাঁচটি মুদ্রা কাগজ-কলমভিত্তিক সনাতন লেনদেন ব্যবস্থায় নিষ্পত্তি হতো। এ পদ্ধতিতে এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের সঙ্গে কাগুজে নথি ব্যবহার করে ব্যাংকের কর্মকর্তারা হাজির হয়ে লেনদেন নিষ্পত্তি করে থাকেন। এতে সময় ও ব্যয় বেশি লাগত। তবে গতকাল থেকে আরটিজিএস পদ্ধতিতে ঝামেলা ছাড়াই তাত্ক্ষণিকভাবে লেনদেন নিষ্পত্তি করতে পারবে ব্যাংকগুলো। পাঁচটি বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্গে চীনা মুদ্রা ইউয়ান লেনদেন করা যাবে।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হয়।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, পরিশোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীর অ্যাকাউন্টের ধরন উল্লেখ করতে হবে। একটি লেনদেনে ব্যাংক সর্বোচ্চ ১০০ টাকা চার্জ নিতে পারবে। আরটিজিএস পদ্ধতিতে বৈদেশিক মুদ্রায় আন্তঃব্যাংক তারল্য সুবিধা নেওয়া যাবে না। লেনদেন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে গাইডলাইনস ফর ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন (জিইএফটি) মেনে চলতে হবে। এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকে অর্থ পাঠানোর পর সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টার মধ্যে সুবিধাভোগীর হিসেবে অর্থ দিতে হবে। এটি করতে না পারলে অর্থ ফেরত যাবে। এ ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে আরটিজিএসের স্থানীয় মুদ্রায় নিষ্পত্তির নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
দেশে ২০১৫ সাল থেকে চালু হওয়া আরটিজিএস থেকে যে কোনো অংকের অর্থ পরিশোধ নিষ্পত্তিতে সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ড সময় লাগে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ১১ হাজার শাখার বেশির ভাগই এ ব্যবস্থায় যুক্ত রয়েছে। গত জুলাইয়ে ৬ লাখ ২৩ হাজার লেনদেনের বিপরীতে ৪ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা নিষ্পত্তি হয়েছে। গত জুন থেকে যুক্ত হয়েছে ১৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান।