নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি কার্যক্রমে এবার যুক্ত হচ্ছে চাল। জুলাই থেকে তেল, ডাল ও চিনির পাশাপাশি ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চালও দেয়া হবে।
রোববার (২৫ জুন) সচিবালয়ের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান ২০২৩ এর অগ্রগতি, কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ ও সামগ্রিক খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময়ে এ তথ্য জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন,
এক কোটি পরিবার টিসিবির পণ্য পাচ্ছেন। এবার তাদের ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি করে চালও দেয়া হবে। জুলাই থেকে এ চাল দেয়া হবে। তারা যখন টিসিবির পণ্য নেবেন, তখন এ চালও দেয়া হবে।
পাশাপাশি ওএমএস চলবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ওএমএসের ডিজিটাল কার্ড তৈরি করছি।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, টিসিবির জিনিস যখন পাবেন, তখন একই প্যাকেটে তাদের এই চাল দেয়া হবে। আমাদের কাছে আসতে হবে না, ওএমএস ডিলাররা তাদের এটি দেবে। অর্থাৎ টিসিবিতে আরেকটি পণ্য হিসেবে এই চাল যুক্ত হয়েছে।
বোরো সংগ্রহ কার্যক্রমের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৭৮ টন চাল আমরা কিনেছি। আর ১ লাখ ১৫ হাজার ২৭২ টন ধান সংগ্রহ করেছি।
তিনি বলেন, আমরা অভ্যন্তরীণভাবে সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন চাল আর ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম। এক্ষেত্রে প্রতি কেজি চাল ৪৪ টাকা এবং ধান ৩০ টাকা। আগস্টের শেষ দিন পর্যন্ত আমাদের এগুলো কেনার কথা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সামনে আরও দুইমাস সময় রয়েছে। এসময়ে আমরা লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারব।
এর আগে গত ১৩ জুন তেজগাঁওয়ের কলোনি বাজারে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্নআয়ের পরিবারের মধ্যে চলতি মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, আগামী মাস থেকে ভর্তুকিমূল্যে ৫ কেজি করে চালও কিনতে পারবেন ফ্যামিলি কার্ডধারীরা।
তবে সে সময়ে ঠিক কত টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি বাণিজ্যমন্ত্রী।
জুন মাসের বিক্রয় কার্যক্রমে সর্বোচ্চ ১ কেজি চিনি, ২ কেজি মসুর ডাল ও ২ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করেছে টিসিবি। এতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকায়, প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকায় এবং মসুর ডাল ৭০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।