পৃথিবীতে বিচিত্র ধরণের মানুষ আছেন। তাদের জীবনাচরণও বিচিত্র রকমের।কেউ হন বিখ্যাত আবার কেউ থেকে যান অখ্যাত।এই রকমই এক অখ্যাত ব্যক্তির সন্ধান পেলাম যন্ত্রশিল্পী পলাশ কুমার দাসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের টাইম লাইনে।তিনি লিখেছেন-এই মানুষটি আমজাদ হোসেন,বাড়ি গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় এলাকায়। তিনি বহু বছর আগে থেকে সাইকেলে চেপে নাটোরে যাওয়া-আসা করেন।তিনি গান করতে ভালোবাসেন।তার স্ত্রীও তার সাথে সঙ্গ দেন গান বাজনায়। তার ছেলে মেয়ে মিলে ৯ সন্তান। তার বয়স এখন ৮০ বছর।তিনি এখনো সাইকেল নিয়ে নাটোরে চলে আসেন আবার চলেও যান।করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সময় এভাবে চলে আসেন ভয় করেনা। এমন প্রশ্নে তিনি জানান,করোনাকে কোনভাবেই তিনি ভয় পাননা। এই লোকটি তিন বেলা রুটি খান।যখন তিনি নাটোরে আসেন তার বাম পকটে আসার সময় দুটো রুটি নিয়ে চলে আসেন।সাথে কখনো গুড় থাকে কখনো থাকে না।তিনি চা পান করেন না,কোন নেশাও করেন না। এভাবে চলে যাচ্ছে তার জীবন।তিনি একজন গরিব মানুষ।তাকে দেখে এই জন্য লিখলাম তার হারমোনিয়াম ঠিক করাতে হলে আমাদের দোকানে নিয়ে আসেন। তিনি এতটা পথ এই বয়সে সাইকেলে করে যাওয়া আসা করেন।এইজন্য আমাদের মনে হয় যে আমরা এখান থেকে দুই তিন কিলো সাইকেল নিয়ে যেতে পারবো না। অথচ তিনি প্রায় ৫০ কিলোমিটার একটানা সাইকেল চালিয়ে আসেন এবং কাজ শেষে ফিরে যান।এর মধ্যে কোথাও থামেন না।এই বয়সে তার এই সাহস দেখে আমি অবাক হয়ে যাই।তাকে জিজ্ঞেস করার পর তিনি বলেন,এইতো চাঁচকৈড়।এমন ভাব যেন ১ কিলোমিটার পথ। তিনি বাড়ি থেকে আসার সময় কলার মোচা ভাদাল তরকারি ইত্যাদি নিয়ে আসেন আমাদের দেওয়ার জন্য।উনি গত পরশুদিন ২২মে এসেছিলেন আমাদের বাসায় সকাল আটটার দিকে।তার কাছে শুনলাম তিনি ভোরের আজানের পরে রওনা দিয়েছিলেন।তিনি যখন সাইকেল চালান তখন মাথাল মাথায় দিয়ে চালান। যাতে রোদ্দুর না লাগে।সঙ্গে একটি গামছা পুরোপুরি ভিজিয়ে মাথার ওপরে গোল করে পেঁচিয়ে আগে দেন তার ওপরে মাথাল টা দেন। তারপর তিনি রওনা দেন।এতে তার কোন জ্বর-সর্দি কখনো হয়না এতে নাকি তার ভালো বোধ হয় মাথা ঠান্ডা থাকে।
আরও দেখুন
লালপুরে কুরেছান বেগমের ইন্তেকাল
নিজস্ব প্রতিবেদক লালপুর,,,,,,,,,,,,,,দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার নাটোরের লালপুর প্রতিনিধি ও মডেল প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাহীন …