নিজস্ব প্রতিবেদক, ঈশ্বরদীঃ
আব্দুর রাজ্জাক ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের গোয়ালবাথান গ্রামের একজন হৃতদরিদ্র ভ্যান চালক। জীবন বাঁচাতে ভ্যান চালিয়ে মুলাডুলি থেকে দাশুড়িয়া তার চলাচল। এই পথে ভ্যান চালিয়ে যা আয় হয় তাই দিয়েই চলে তার সংসার। তিন সন্তানের জনক রাজ্জাকের দিন চলে খুব কষ্টে। ভ্যান ছাড়া তার নেই কোন আয়ের পথ।
স্বাভাবিক দিনগুলোতেই তার সংসার চলত অতি কষ্টে। আর্থিক অক্ষমতার কারণে লেখাপড়া শেখাতে পারেন নাই ছেলে মারুফেকে। পরিবারের ভোরণ-পোষন মেটাতে হাতে ভ্যান তুলে নেন মারুফ। দুই মেয়ে রোকসানা ও রন্তা পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। ডায়াবেটিকস রোগী হওয়ায় ঠিকমত ভ্যান চালাতে পারে না রাজ্জাক। আর করোনার কারণে এই সংকটময় সময়ে ভ্যান চালাতে না পেরে ও যাত্রী না পেয়ে খুবই অসহায়ত্ব বোধ করছেন রাজ্জাক। ইতিমধ্যে বড় মেয়ের একটি দুর্ঘটনায় ১৫ হাজার টাকা ঋণ করে চিকিৎসা করেন তিনি।
একদিকে ঘরে খাবার নেই অন্যদিকে ঋণের বোঝা সবকিছু মিলিয়ে অসহায় জীবন রাজ্জাকের। সরকার থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা শুনলেও এখনো কোন কিছু পায় নি রাজ্জাক। সরকার দায়িত্ব নিলে সন্তানের পড়ালেখাসহ সংসার জীবনে অসহায়ত্ব কাটত বলে জানান তিনি। অসহায় জীবন-যাপন করলেও ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নেই নি রাজ্জাক। সরকারের দায়িত্বশীল বিভাগ রাজ্জাকের শ্রমের মর্যাদা দিবে এমনটাই প্রত্যাশা
আরও দেখুন
বাগাতিপাড়ায় আগুনে পোড়া তিন পরিবার পেল সহায়তা
নিজস্ব প্রতিবেদক বাগাতিপাড়া,,,,,,,,,,,,,নাটোরের বাগাতিপাড়ায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ৩টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে …