নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসের ২০ লাখ ডোজ টিকা আগামীকাল বুধবার দেশে আসছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের এই টিকা সে দেশের সরকার উপহার হিসেবে দিচ্ছে। দেশে করোনার টিকা ব্যবস্থাপনায় যুক্ত দায়িত্বশীল পর্যায়ের এক সূত্র গতকাল সোমবার কালের কণ্ঠকে এই তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও গতকাল সকালে মিট দ্য রিপোর্টার্স প্রগ্রামে অংশ নিয়ে বলেছেন, ভারত সরকার বাংলাদেশকে কিছু টিকা উপহার হিসেবে দেবে। যেকোনো সময় তা দেশে আসতে পারে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ওই অনুষ্ঠানে টিকার পরিমাণ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের পরও তিনি বিষয়টি খোলাসা করেননি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে দেশে করোনা মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরে বলেন, “শুরু থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমরাও অনেক কিছুই জানতাম না। করোনাভাইরাস মোকাবেলার সঠিক ব্যবস্থা কী, সেটাই জানা ছিল না। ফলে এ বিষয়ে ‘অব্যবস্থাপনার’ প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়। এতে আমার আপত্তি আছে। করোনার মধ্যেও স্বাস্থ্য খাতে অনেক উন্নতি হয়েছে। অনেক কাজ করতে গেলে কিছুটা ভুল হতেই পারে। আমরা সেগুলো শুধরে নিয়েছি। কিছু দুর্নীতি হয়েছে প্রাইভেটে। সেগুলো ধরে ফেলে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।”
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে কখন করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এলো বা গেল, তা-ও বুঝতে পারলাম না। এখন আমাদের এখানে দৈনিক শনাক্ত ৫ শতাংশের নিচে। সরকারের নানা পদক্ষেপের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন ভালো আছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আমাদের চুক্তির আওতায় থাকা তিন কোটি টিকার প্রথম লট আসবে আগামী ২৫-২৬ তারিখে। কিভাবে টিকাকেন্দ্র হবে, কোথায় টিকা দেওয়া হবে, কিভাবে রাখা হবে—এসব ঠিক করা হয়েছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিভাবে ম্যানেজ করা হবে, সেগুলোও ঠিকঠাক করা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান সঞ্চালনা করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী পরে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘কভিড-১৯ হেলথ বুলেটিন’ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক বিশেষ অতিথি ছিলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব মো. আলী নূর, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব ডা. এম এ আজিদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানাসহ অন্যরা।