নিজস্ব প্রতিবেদক, দুপচাঁচিয়া
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা সাব রেজিষ্টার এসএম কামরুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৩ মার্চ রোববার দুপচাঁচিয়া উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখকগণ বগুড়া জেলা প্রশাসকের নিকট তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই সাথে লিখিত অভিযোগের অনুলিপি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দলিল লেখকগণ দলিল রেজিষ্ট্রির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দলিল লিখে উক্ত কাগজপত্রের ফটোকপি দলিল রেজিষ্টির উদ্দেশ্যে তার দপ্তরে দাখিল করেন। সাব রেজিষ্টার দলিল রেজিষ্ট্রি করার সময় নানা অজুহাতে প্রতিটি দলিলের ক্ষেত্রে ঘুষ নিয়ে থাকেন। ঘুষ না দিলে রেজিষ্ট্রি না করার জন্য অপ্রয়োজনীয় ত্রুটি বের করেন। দিন দিন তার এই ঘুষ দাবীর মাত্রা বেড়েই চলেছে। এ কারণে দলিল লেখকগণ দাতা প্রহিতার নিকট থেকে দলিল রেজিষ্ট্রি করার জন্য সরকারী বিধি মোতাবেক ফি নিয়ে থাকেন। পরবর্তী সময় সাবরেজিষ্টিারের অস্বাভাবিক চাহিদার জন্য দাতা গ্রহিতার নিকট অতিরিক্ত টাকা নিতে হয়।
নির্ধারির ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত টাকা কেন নেয়া হচ্ছে দলিল লেখকগণ তার জবাব দিতে পারেন না। ফলে দলিল দাতা ও গ্রহীতার নিকট দলিল লেখকগণ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন। শুধু তাই নয় মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির সহ নানা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দলিল রেজিষ্ট্রির জন্য স্থানীয় সরকারী কর প্রযোজ্য না থাকলেও সাব রেজিষ্টার বেআইনীভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে থাকেন। আর এসব ঘুষ ও দুর্নীতি সহায়তা করেন তার অফিসের অফিস সহায়ক(পিয়ন) বুলবুল হোসেন। এই বুলবুলের পরামর্শেই সাবরেজিষ্টার কিছু দলিল রেজিষ্ট্রি করে আবার কিছু স্থগিত রাখেন। পরবর্তীতে বুলবুলের মাধ্যমে ঘুষ নিয়ে স্থগিতকৃত দলিল রেজিষ্ট্রি করেন। এসব ঘুষ, দুর্নীতির প্রতিবাদ করলে সাব রেজিষ্টার দলিল লেখকদের অপসারণ বা শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
সেই সাথে সাব রেজিষ্টার বলেন, আমি যে কথা বলি সেটাই আইন। সম্প্রতি এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করলে দুইজন দলিল লেখককে নোটিশের মাধ্যমে কৈফিয়ত তলব করেন কেন তাদের সনদ বাতিল করা হবে না। এতে করে দলিল লেখকগণ সাবরেজিষ্টারের এমন মানসিক নির্যাতন ও আইন বর্হিভূত অপকর্মের অত্যাচারে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন। এ ঘুষ দুর্নীতিগ্রস্থ অফিসারের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে ময়নুল ইসলাম, আশরাফুজ্জামান সাগর, সিরাজুল ইসলাম, দবির উদ্দিন সহ ৬৯জন সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখকগণ এ অভিযোগ করেন।
উপজেলা সাবরেজিষ্টার এসএম কামরুল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, দলিল লেখকগণ আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা প্রমাণিত হলে যে কোনো শাস্তি আমি মেনে নিবো।
আরও দেখুন
বিএনপির সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হামলা-দখলের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ,,,,,,,,,,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক …