কোভিড-১৯ বা নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সারা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশেও দিন দিন বাড়ছে। তবে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া উন্নত দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে এ রোগে মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
সরকারের রোগতত্ব, রোগনির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) রোববার (১৯ এপ্রিল) দেওয়া তথ্য এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
আইইডিসিআর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করে টেস্ট করা হয়েছে ২৩ হাজার ৯৪১টি। এর মধ্যে আক্রান্ত ধরা পড়েছে ২ হাজার ৪৫৬টি। অর্থাৎ শনাক্তের হার ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ। যা ইতিমধ্যে আশাব্যঞ্জক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট শানাক্ত রোগীর মধ্যে মারা গেছেন ৯১ জন। অর্থাৎ মৃত্যুর হার ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ, যা উন্নতদেশগুলোর চেয়ে কম। শুধু তাই নয়, বৈশ্বিক প্রেক্ষিতেও মৃত্যু হারের চেয়েও প্রায় অর্ধেক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, ২১৩টি এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২২ লাখ ৪১ হাজার ৩৫৯জন। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ৫৫১জন। অর্থাৎ বৈশ্বিক মৃত্যু হার ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হার ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ, স্পেনে ১০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, ইতালিতে ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ, ফ্রান্সে ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ, চিনে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ।
উন্নত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম মৃত্যু হার রাশিয়ায়। শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ। এরপরেই জার্মানির অবস্থান। সেখানে মৃত্যু হার ৩ দশমিক ০৭ শতাংশ।
রাশিয়ার এ অবস্থাকে সারা বিশ্ব বিস্ময়ের চোখেই দেখছে। চীনের সীমান্তবর্তী দেশ হয়েও আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় দেশটি মৃত্যুহার কমাতে পেরেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জার্মানিও আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। আর আমেরিকা, স্পেন, ইতালি, যুক্তরাজ্য বা ফ্রান্স সময় পেয়েও গাফিলতি করায় ভুগছে বেশি।
দেশে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭১ জন। সুস্থ হতে কিছুটা সময় বেশি প্রয়োজন বিধায় মৃত্যুহারের সঙ্গে সুস্থ হওয়ার হার তুলনা করা সমীচিন নয় বলে মনে করছেন অনেকে।