“স্মৃতি”
আমি অপদার্থ,
তার কোমল হাতের সুক্ষ
নিপুণ কল্পনার আল্পনা
আঁকা করেছি ব্যার্থ।
চোখের চশমা দিয়েছি খুলে,
ভেবেছি গিয়েছি ভূলে,
সে তো জানেনা আমি রিক্ত
নি:স্ব, কত অসহায়,
দুজনেরই স্বপ্ন ভেঙে গেছে হায়
হতাশার বেদনাদায়,
বেদনার হৃদপিন্ডে তুলে জলছবি,
আমি আমারে করেছি শুদ্ধ
প্রেমের পথিক পথভোলা।
হারিয়ে খুঁজি যারে নামটি তার লীলা।।
যৌবনের প্রারম্ভে হৃদয়ের
খাতায় এঁকেছি যে ছবি,
স্বযত্নে আজও রেখেছি অন্তরের অন্তস্হলে,
কাউকে হয়ে ওঠেনি বলা,
সদা হাসির লাস্যময়ী
ছিপছিপে তরুণী নামটি তার লীলা।।
সে তখন দশম শ্রেণীর ছাত্রী,
ভ্রমরকালো পটল চেরা চোখ,
চন্দনে জোস্নামাখা বর্ণ তার,
মায়ায ভরা মুখ,
অপরূপ রূপের মাধুরী নম্রচিত্তে সততায়
প্রাণখোলা আমার মনের তুলিতে আঁকা,
নামটি তার লীলা।।
বিদীর্ণ বিদারিত মনের মনিকোঠার
গোপন বাক্সে রেখেছি তারে বন্দি,
হয়তোবা এ পোড়া কপালে,
দূর্বিসহ জীবনে হবে না কোনও রকমের সন্ধি,
কত ভালবাসি তারে কখনও যাবেনা বলা,
মনের মুকুরে লেখা নামটি তার লীলা।।
কোন একসময় দুজনের মুখে ছিল
একই গানের সুর সময়ের ব্যবধানে,
দুজনের মধ্যেখানে আজ দুরত্ব বহুদূর,
তবুও এ শুন্য বুকে,
কেঁপে ওঠে থেকে থেকে,
অনুভবের পরশে স্মৃতির আবেশে,
লাগে সুবাসের দোলা সে যে আমার প্রেমের স্পন্দন,
নামটি তার লীলা।।
স্মৃতির স্মরণী বেয়ে মনে পড়ে গেল
সেদিনের মধুর মন্দ কথা, পথে,
আমায় যেতে দেখে তাদের বাড়ি,
যাচ্ছিল স্কুলে খনকালবাদে এলো ফিরি,
মাষ্টার মশাইকে দিয়ে মিথ্যে বার্তা,
হয়েছে তার পেটের ব্যাথা,
অন্তহীন প্রেমের রেখে নিদর্শন,
আজ হয়েছে শালগ্রাম শীলা।।
হারিয়ে খুঁজি যারে নামটি তার লীলা।।
উত্তম সরকার