নিউজ ডেস্ক:
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আখতার বলেন, ‘রোববার ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১০ ঘণ্টায় উড়াল সড়ক ব্যবহার করেছে ৯ হাজার ৪৪০টি গাড়ি। টোল আদায় হয়েছে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪০ টাকা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার কাওলা পয়েন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এরপর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রোববার সকাল থেকেই উড়াল সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি (প্রাইভেট কার), অফিসগামী মিনিবাস ও পিকআপ চলাচল শুরু করে। এ সময় এই সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের মধ্যে এক ধরনের উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়ার প্রথম ১০ ঘণ্টায়ই উড়াল উড়াল সড়ক পাড়ি দিয়েছে ৯ হাজার ৪৪০টি গাড়ি। এসব গাড়ি থেকে টোল আদায় হয়েছে সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আখতার রোববার বিকেলে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আজ (রোববার) সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দরের কাওলা প্রান্তের টোল প্লাজা দিয়ে ৫ হাজার ৮০০টি গাড়ি উড়াল সড়কে প্রবেশ করেছে। একই সময়ে কুড়িল টোল প্লাজা দিয়ে এক হাজার ১৩টি, বনানী টোল প্লাজা দিয়ে ৯৩২টি এবং তেজগাঁও টোল প্লাজা দিয়ে এক হাজার ৬৯৫টি এই সড়ক ব্যবহার করেছে। সব মিলে ৯ হজার ৪৪০টি গাড়ি থেকে মোট টোল আদায় হয়েছে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪০ টাকা।
‘সাধারণত বিকেল থেকে রাত ৮-৯টা পর্যন্ত প্রধান সড়কে যানজট বেশি থাকে। তাই এ সময়ে মানুষ উড়াল সড়ক বেশি ব্যবহার করবে। সেসব হিসাব করলে এক দিনে উড়াল সড়ক ব্যবহার করা গাড়ির সংখ্যা ও টোলের পরিমাণ আরও অনেকটা বাড়বে।’
খুশি যাত্রী এবং গাড়িচালকরা
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরুর দিনটির প্রতীক্ষায় ছিলেন উত্তরা-বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট হয়ে যাতায়াত করা নগরবাসীর। রোববার সকাল ৬টায় উড়াল সড়ক খুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে তাদের সেই প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে।
উড়াল সড়ক ব্যবহার করে উত্তরা থেকে ফার্মগেটে আসেন আব্দুর রহিম। প্রাইভেট কারের এই চালক উচ্ছসিত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি এক টানে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেটে চলে আসছি। সব মিলিয়ে ঘড়ি ধরে আমার সময় লেগেছে মাত্র ১০ মিনিট। প্রথম দিনে সড়কের সোন্দর্য দেখতে দেখতে আসছি। সোজা চলে এলে আরও ২-১ মিনিট কম লাগতো।
‘এটা আমার জন্য বড় একটা অভিজ্ঞতা। আমার নিয়মিতই উত্তরা থেকে মোহাম্মদপুরে আসতে হয়। প্রতিদিনই আমার এই পথে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগে। সেখানে আজ আমার লেগেছে মাত্র ১০ মিনিট।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটাতে হয়তো আমার টোল বাবদ কিছু টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু গাড়ির তেলও তো কম লেগেছে। তাছাড়া রাস্তায় জ্যামে বসে থাকাও লাগেনি। তাই সব মিলিয়ে এটা একটা অসাধারণ রাস্তা হয়েছে।’
আরেক প্রাইভেট কারের যাত্রী শাহিনুর রহমান তার অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমার বাসা ধানমন্ডিতে আর অফিস উত্তরায়। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে মনে হয়েছে যে সরকার আমার জন্যই বুঝি এটি তৈরি করেছে। আমিই এটার সবচেয়ে বড় উপকারভোগী। মাত্র ১০-১২ মিনিটে আমি ফার্মগেটে চলে এসেছি। আমার কাছে এটা স্বপ্নের মতো লাগছে।’