নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদ জামাতে হত্যা মামলার আসামীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার রামসার কাজিপুর গ্রামে। নলডাঙ্গা থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে, আজ ২২ এপ্রিল শনিবার সকাল ৮ টার দিকে স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ পড়া অবস্থায় স্থানীয় ফরহাদ আলী শাহ্ র স্ত্রী এবং ছাত্রলীগ নেতা জীবনের মা জাহানারা বেগম ঈদ জামাতে ভেতরে ঢুকে ছাত্রলীগ নেতা জীবন হত্যা মামলার ২নং আসামী এসএম ফয়সাল আলম ফটিকের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে হাসুয়া দিয়ে হামলা চালায়। সেজদারত অবস্থায় কোপ দেয়ার সময় ফটিকের ছেলে নাজমুল আহসান অভি টের পেয়ে তার বাবাকে জাহানারার হাত চেপে ধরে। এতে নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিরা এগিয়ে এলে জাহানারা সেখান থেকে চলে যায়।
অভিযোগকারী এস এম ফয়সাল আলম ফটিক জানান, জীবনের মৃত্যু কারোরই কাম্য ছিল না। একটি অভিযোগের ভিত্তিতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জীবন প্রথম আমার উপরে হামলা করে। এ নিয়ে হাতাহাতি হলে আমরা সবাই আহত হই কিন্তু জীবন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এটি বিচারাধীন রয়েছে আদালতে। তারপরেও জীবনের বাবা ফরহাদ সহ তাদের আত্মীয়-স্বজন যেভাবে আমাদের উপরে প্রতিনিয়ত হামলা চালাচ্ছে। আমার ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকেও হত্যার উদ্দেশ্যে বারবার হামলা চালাচ্ছে। আমাদের মাঠের ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে, আমাদের জমি জমাতে আবাদ করতে দিচ্ছে না। পুকুরের মাছ মেরে নিয়ে যাচ্ছে , আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের নামে মামলা দেয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করছে। আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। তারপরে আজকে আবারো নামাজ রত অবস্থায় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসুয়া দিয়ে কোপ দেয় জাহানারা।
মূল অভিযুক্ত জাহানারা বেগমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্তদের মধ্যে এস এম ফখরুদ্দিন ফুটু জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। ছেলে জীবন হত্যা হওয়ার পর থেকেই জাহানারা বেগম অনেকটাই অপ্রকৃতিস্থ। আজকে ঈদ মাঠে এ নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছে। তবে আমি অন্য একটি ঈদগা মাঠে থাকায় এই বিষয়টি পুরো বলতে পারব না।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান এই অভিযোগের ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।