নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রেস বিজ্ঞপ্তি, ১৭ জুন ২০২৪
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, দ্রুত সময়ের কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সিটি কর্পোরেশনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রায় ১৪‘শ কর্মী ৩৫টি টিমে ভাগ হয়ে কাজ করছে। আজ রাত ১২ থেকে ১টার মধ্যে রাজশাহী মহানগরীর কোরবানির সকল বর্জ্য অপসারণ করা হবে। গতবারের ন্যায় এবারো ঈদের পরদিনই পরিচ্ছন্ন শহর পাবেন নগরবাসী, কোরবানির কোন চিহ্ন থাকবে না।
সোমবার (১৭ জুন) বিকেলে নগরীর ১৮নং ওয়ার্ডের শারীরিক শিক্ষা কলেজ সংলগ্ন পবাপাড়া সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর নগরীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন রাসিক মেয়র।
এরআগে সকাল ১১টা থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে পশু জবেহের স্থান থেকে কোরবানির বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করে রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা। ৩০টি ওয়ার্ড থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে ২৮টি এসটিএস‘ নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা থেকে সেই বর্জ্য নগরীর সিটি হাট সংলগ্ন ভাগাড়ে নিয়ে ফেলা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আগামীকাল ও পরশুদিন যারা কোরবানি করবেন, সেই বর্জ্যগুলোও দ্রুত সময়েও অপসারণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে রাজশাহীর সুনাম দেশজুড়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই নগরীকে দেখতে আসেন। রাজশাহী দেখে যখন তারা প্রশংসা করেন, তখন আমাদের গর্ব হয়। আরো ভালো লাগে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য সিটি মেয়রদের রাজশাহী শহর দেখে যেতে বলেন। অন্যান্য সিটির মেয়র ও তাদের প্রতিনিধিরা আসছেন। রাজশাহীর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তাঁরা নিজ সিটিকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর করবেন। আমরা এটিই চাই পুুরো দেশটা পরিচ্ছন্ন ও সুজ্জিত হবে, সকল সিটি প্রকৃতঅর্থে গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-২ ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন ডলার, উপ- প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা রঞ্জু, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা (মনিটরিং) সাজ্জাদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।#
রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ জানিয়েছে, এবার রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে পশু কোরবানির জন্য ২১০টি স্থান নির্ধারণ করা হয়। কোরবানির বর্জ্য অপসারণে রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরিচ্ছন্ন বিভাগের ১৩৯৪ জন কর্মী কোরবানির বর্জ্য অপসারণ ও শহর পরিচ্ছন্ন কাজে নিয়োজিত রযেছে। প্রায় ৪শ ভ্যান, ২টি স্টিড রোলার, ৬টি ট্রাক্টর ডবল ট্রলিসহ, ১৫টি হাইড্রোলিক ট্রাক, ২টি ওয়াটার ট্যাংকার এই কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে। পশু জবেহ এর স্থানসমূহে পর্যাপ্ত ব্লিচিং পাওডার ছিটানো হচ্ছে।