নিউজ ডেস্ক:
ঈদ ঘিরে মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) দুই প্রতিষ্ঠান বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ঘণ্টায় প্রায় দু শ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বিকাশের মাধ্যমে ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছে ১২১ কোটি টাকা। আর নগদের মাধ্যমে ঘণ্টায় লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭৫ কোটি টাকা। গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবারের লেনদেনের হিসেব থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
বিকাশের মাধ্যমে গতকাল বুধবার ২৪ ঘণ্টায়ই লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকার বেশি। প্রতি ঘণ্টার হিসেবে যার পরিমাণ ছিল ১২১ কোটি টাকা। মে মাসের শুরু থেকে ১০ মে পর্যন্ত বিকাশের দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। তাতে প্রতি ঘণ্টায় গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৯২ কোটি টাকা টাকা। ঈদের কারণে গতকাল বিকাশের দৈনিক লেনদেন বেড়ে গেছে ৭০০ কোটি টাকা।
বিকাশ এবারই প্রথম ঈদ সামনে রেখে মোবাইল অ্যাপে ‘ঈদ সালামি’ নামে একটি অপশন চালু করেছে। প্রতিষ্ঠানটির অ্যাপ ব্যবহারকারী কোনো গ্রাহক চাইলে প্রিয়জনের কাছে ঈদ সালামির টাকা পাঠাতে পারছেন। যাকে পাঠানো হচ্ছে তিনিও জানতে পারছেন টাকাটি কোন উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে।
বিকাশের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে মানুষের হাতে বাড়তি কিছু অর্থ আসে। বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে এ সময়টাতে মানুষ বাড়তি খরচও করেন। করোনার কারণে এবার আর্থিক লেনদেনে এমএফএসের ব্যবহার বেড়েছে।
এদিকে ডাক বিভাগের এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদের মাধ্যমে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মাত্র ৯ ঘণ্টায় ৬৭৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। যেখানে গত ১০ মে পর্যন্ত দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৩৩ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘মোবাইলে আর্থিক সেবা এখন মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাপনের অংশ হয়ে গেছে। ঈদের আগে মানুষের টাকা লেনদেন অনেক সময় জরুরি হয়ে পড়ে। যার প্রতিফলন গত কয়েক দিনে আমরা দেখছি।’
দেশে বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবন্ধিত ১৫টি এমএফএস প্রতিষ্ঠান আর্থিক সেবা দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবন্ধনের বাইরে ডাক বিভাগের প্রতিষ্ঠান নগদ এ সেবার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এমএফএস বাজারের ৭০ শতাংশই বিকাশের দখলে। বর্তমানে লেনদেনের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নগদ। এমএফএস সেবার বাজারে বিকাশ ও নগদের পরের অবস্থানে রয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রকেট। প্রতিষ্ঠানটির দৈনিক গড় লেনদেন কয়েক দিন আগে ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। তবে রকেটের মাধ্যমে গত ২৪ ঘণ্টায় লেনদেন কতটা বেড়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।