নিউজ ডেস্ক:
বৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাটে বেড়েছে ইলিশের সরবরাহ। ঘাটে আসছে দুই থেকে তিন হাজার মণ ইলিশ। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের দাম কমেছে ১৫০-২০০ টাকা। তবে ক্রেতাদের দাবি মৌসুমের তুলনায় দাম এখনো আশানুরূপ কমেনি। আর আড়তদাররা বলছেন, ঘাটে ইলিশের সরবরাহ এমন থাকলে নদীতে অভয়াশ্রম শুরুর আগে দাম আরও কিছুটা কমতে পারে। এদিকে গতকাল বরিশালের পোর্ট রোড ইলিশ মোকামে এসেছে প্রায় ৮০০ মণ ইলিশ। এর আগের দিনও এসেছিল প্রায় সাড়ে ৭০০ মণ ইলিশ। পাইকারি বাজারে গতকাল এক কেজি ওজনের একটি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১৭৫ টাকায়। যা খুচরা বাজারে ১ হাজার ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। গত কয়েক দিনের অব্যাহত বৃষ্টির কারণে সাগর মোহনায় ধরা পড়ছে শত শত মণ ইলিশ। বরিশাল জেলা মৎস্য দফতরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, গত কয়েকদিন বৃষ্টির কারণে সাগর মোহনায় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে সাগরের ইলিশ আসছে কম। আগামী ৭ অক্টোবর মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে নদী ও সাগরে আরও ইলিশ পড়বে বলে তারা আশা করছেন। ইলিশ আহরণ বাড়লে দামও নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে তিনি জানান।
অপরদিকে গতকাল সকালে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। যেখানে গত এক সপ্তাহ আগেও শ্রমিকরা অলস সময় কাটিয়েছেন সেখানে তারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমানে ৫০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮০০-৯০০ টাকা, ৮০০-সাড়ে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ১০০০-১১০০ টাকা ও ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১৩০০-১৪০০ টাকা, ১২০০ গ্রাম- দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ১৬০০-১৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ১৫০-২০০ টাকা কম।
আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসকে বলা হয় ইলিশের ভরা মৌসুম। কিন্তু চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে চাহিদা অনুযায়ী ছিল না ইলিশের সরবরাহ। এতে দাম ছিল সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। তবে মৌসুমের শেষ সময়ে গত তিন-চার দিন ধরে গড়ে ২-৩ হাজার মণ ইলিশ আসছে ঘাটে। যদিও ঘাটে আসা এসব ইলিশের অধিকাংশই ভোলা, সন্দ্বীপ ও হাতিয়া থেকে আসা বলে জানান আড়তদাররা। চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক বলেন, গত কয়েকদিন ঘাটে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। আমি মনে করি দাম এখন সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আছে। তবে ইলিশের প্রজনন মৌসুমের নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগ পর্যন্ত ইলিশের সরবরাহ এমন থাকলে দাম আরও কিছুটা কমতে পারে।