নিউজ ডেস্ক:
ইলিশ দিয়ে তৈরি প্রক্রিয়াজাত খাবারের স্বাদ ও গন্ধ অক্ষুণ্ণ রেখে দীর্ঘদিন সংরক্ষণের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের গবেষকরা। তাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইলিশ মাছের সহজাত স্বাদ ও গন্ধ সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত রেখে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য প্রায় এক বছর সংরক্ষণ করা যাবে। অধ্যাপক একেএম নওশাদ আলমের নেতৃত্বে এই গবেষণা পরিচালিত হয়।
মঙ্গলবার মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে সাংবাদ সম্মেলনে গবেষকরা এ দাবি করেন। এক প্রকল্পের আওতায় এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছে।
অধ্যাপক নওশাদ আলম জানান, ইলিশ মাছে থাকা মানবদেহের জন্য উপকারী চর্বি ও ফ্যাটি অ্যাসিড খুব সহজেই জারিত হয়ে পচে দুগর্ন্ধময় হয়। এ কারণে ইলিশ ও প্রক্রিয়াজাত পণ্য বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না। ইলিশের চর্বি ও ফ্যাটি অ্যাসিডকে জারণ থেকে রক্ষা করার জন্য দরকার ছিল একটি কার্যকরী খাদ্য উপযোগী এন্টি-অক্সিডেন্ট। তিন বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণার মাধ্যমে গাজরে এই খাদ্য উপযোগী এন্টি-অক্সিডেন্টের সন্ধান পেয়েছেন তারা। প্রাপ্ত এন্টি-অক্সিডেন্টটির নাম ক্যারোটিনয়েড বা বিটা ক্যারোটিন। এই বিটা ক্যারোটিন ব্যবহারে ইলিশের চর্বি ও ফ্যাটি অ্যাসিডের জারণ রোধ করে পুষ্টিমান অপরিবর্তিত রাখা সম্ভব। তিনি আরও জানান, গবেষণায় প্রক্রিয়াজাত পণ্যে এন্টি-অক্সিডেন্টটি ব্যবহারে ফ্রিজিং করে সংক্ষণের প্রায় এক বছর পরেও তাজা ইলিশের স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান অপরিবর্তিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি করা বেশ কিছু পণ্য বাজারে ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে একটি গবেষণা প্রবন্ধ সম্প্রতি হ্যালিয়ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
এর আগে এক প্রকল্পের আওতায় অধ্যাপক নওশাদ আলমের নেতৃত্বে গবেষকরা ইলিশের স্যুপ ও নুডলস উদ্ভাবন করেন।