নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ইভা খাতুনের অর্থাভাবে মেডিকেল পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা কেটে গেছে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি মেয়েটির পড়ালেখার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ মুঠোফোনে ইভার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাগাতিপাড়া উপজেলার সলইপাড়া গ্রামের ঝরনা বেগম ও মৃত ইউসুফ আলীর মেয়ে ইভা খাতুন। তাঁর বয়স যখন দুই বছর চার মাস, তখন তাঁর বাবা কিডনিজনিত সমস্যায় মারা যান। এরপর থেকে অভাব-অনটনের সংসারে মেয়ে বড় হতে থাকে। শেষ সম্বল ১৫ শতাংশ জমিও স্বামীর চিকিৎসা করাতে বন্ধক রাখতে হয়েছে ঝরনা বেগমকে। তাঁকে টিউশনি করে অনেক কষ্টে সংসার ও মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতে হয়েছে।
চলতি বছর মাগুরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ইভা খাতুন। কিন্তু মেডিকেলে ভর্তি ও পড়ালেখা চালানোর আর্থিক সামর্থ্য নেই তাঁর পরিবারের। ফলে তাঁর পড়ালেখা ও চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
এ নিয়ে গতকাল বুধবার নারদবার্তায় মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চিত ইভা’র শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
তাঁর ডাক্তার হওয়ার জন্য যা যা সহযোগিতা দরকার, তা আমি ব্যক্তিগতভাবে করতে চাই।
আমি বেঁচে থাকলে তাঁর ডাক্তারি পড়ায় কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।
ইভা ও তাঁর মায়ের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে মেডিকেলে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘জীবনসংগ্রামী এক মায়ের চেষ্টায় ইভা খাতুন প্রতিযোগিতাপূর্ণ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় ভর্তির সুযোগ করে নিতে পেরেছে জেনে খুশি হয়েছি। এখন তাঁর ডাক্তার হওয়ার জন্য যা যা সহযোগিতা দরকার, তা আমি ব্যক্তিগতভাবে করতে চাই। আমি বেঁচে থাকলে তাঁর ডাক্তারি পড়ায় কোনো সমস্যা হবে না।’
এ বিষয়ে ইভা খাতুন বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী আমার সঙ্গে ও মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি পড়ালেখায় আমাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এ জন্য আমাদের পক্ষ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।