শুক্রবার , নভেম্বর ১৫ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বক্তব্য বিকৃত হয়েছে: আইসিডিডিআর,বি

ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বক্তব্য বিকৃত হয়েছে: আইসিডিডিআর,বি

প্রভাবশালী ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্টে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআর,বি) নির্বাহী পরিচালক ড. জন ক্লেমেনসের মূল বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। তারা বলছে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নিয়ে যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তাতে জন ক্লেমন্সের বক্তব্য অতি সরলীকরণ করা হয়েছে।

শনিবার (৬ জুন) আইসিডিডিআরবি’র পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইকোনমিস্টে ছাপা হওয়া জন ক্লেমন্সের বক্তব্য নিয়ে ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দ্য ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদনে আইসিডিডিআরবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. জন ক্লেমেনসের মূল বক্তব্যকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিমাণ সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি আইসিডিডিআর,বি’র কোভিড ব্যবস্থাপনার তথ্য তুলে ধরেন। কোভিড মহামারির শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মীদের কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হয়ৈছিল। জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকলে কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার হটলাইনের মাধ্যমে স্টাফ ক্লিনিকে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। যাদের এসব উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তাদের নিজস্ব ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। আর যারা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি আইইডিসিআরের সহায়তায় আইসোলেশন ও কন্টাক্ট ট্রেসিং নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মহাখালীর আইসিডিডিআর,বি ক্যাম্পাসের প্রায় দুই হাজার কর্মী নিয়োজিত। তাদের চার থেকে পাঁচ শতাংশ সংক্রমিত হয়েছেন, যদিও আইসিডিডিআর,বি ক্যাম্পাস থেকে তাদের সংক্রমিত হওয়ার নজির পাওয়া যায়নি। গোটা ঢাকা শহরে করোনাভাইরাসের যে সংক্রমণ, আইসিডিডিআর,বি কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার হার তার প্রতিনিধিত্ব করে না। এই হারকে সরলীকরণের মাধ্যমে গোটা ঢাকা শহরের জন্য প্রযোজ্য বিবেচনা করাটাও যৌক্তিক নয়। তারপরও ঢাকা শহরের মোট জনগোষ্ঠী এখানকার কর্মীদের মতো ৪ থেকে ৫ শতাংশ হারে আক্রান্ত হয়েছে বলে যদি ধরে নেওয়া হয়, তাহলে ঢাকা শহরের কমপক্ষে সাড়ে ৭ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবেন বলে হিসাবে পাওয়া যাবে।

এর আগে শনিবার (৬ জুন) সংস্করণের ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে ‘বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানে দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে এই তিন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ইকোনমিস্ট। তারা বলছে, এই তিনটি দেশেই করোনায় আক্রান্তের যে সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানে তুলে ধরা হচ্ছে, বাস্তবে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। এমন সন্দেহ তুলে ধরে সাময়িকীটি বলছে, এরই মধ্যে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে কেবল ঢাকাতেই। আইসিডিডিআর,বি’র নির্বাহী পরিচালক জন ক্লেমন্সের উদ্ধৃতির বরাত দিয়ে তারা রাজধানী ঢাকার আক্রান্ত হওয়ার এই চিত্র তুলে ধরে।

ইকোনমিস্ট বলছে, সরকারি তথ্য এই সংখ্যার ধারেকাছেও নেই। শুক্রবার পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, দেশে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬০ হাজার ৩৯১ জনের মধ্যে। এদের প্রায় অর্ধেকই ঢাকার।

আরও দেখুন

বিএনপির সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হামলা-দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ,,,,,,,,,,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক …