নিউজ ডেস্ক:
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেন থেকে গম আমদানির চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। যুদ্ধের কারণে এই গম পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা থাকলেও দেশটি থেকে গমের প্রথম চালান আজ বুধবার চট্টগ্রাম বন্দরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে এসে পৌঁছাবে। প্রায় ৫০ হাজার টন গমের চালানটি আজ দুপুরে সেখানে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া থেকে ৫০ হাজার টনের আরেকটি গমের চালান আগামী রবিবার দেশে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বুলগেরিয়া থেকে দুটি প্যাকেজে ৫০ হাজার টন করে এক লাখ টন গম এরই মধ্যে আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম প্যাকেজে প্রতি টন গম আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৪৪৮.৩৮ ডলার। দ্বিতীয় প্যাকেজে প্রতি টন গম আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৪৭৬.৩৮ ডলার।
রাশিয়া থেকে যে পাঁচ লাখ টন গম আমদানি করা হচ্ছে, তার মধ্যে প্রথম ধাপে প্রায় ৫২ হাজার টন এবং দ্বিতীয় ধাপে গত ২৯ অক্টোবর আরো প্রায় ৫৫ হাজার টন গম চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। তৃতীয় ধাপে আরো প্রায় ৫০ হাজার টন গম আগামী রবিবার বন্দরে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছর এ পর্যন্ত দুই লাখ সাত হাজার টন গম আমদানি করা হয়েছে। রাশিয়া থেকে আরো দুটি চালান দেশে এসে পৌঁছানোর পর বাজারে সরকারি গমের সরবরাহ ও মজুদ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংগ্রহ ও সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মজিবর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের দানাদার খাদ্যশস্যের মজুত বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। সন্তোষজনক এই মজুদ ধরে রাখতে আমরা আমদানি বাড়াতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমদানি চুক্তির আওতায় ইউক্রেন ও রাশিয়ার থেকে সব গম দেশে এসে পৌঁছালে আমাদের মজুদ পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে। ’
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে (২০২১-২০২২) দেশে প্রায় ৪০ লাখ ১২ হাজার টন গম আমদানি করা হয়েছিল। এর মধ্যে সরকারিভাবে পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার টন এবং বেসরকারিভাবে ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার টন গম আমদানি করা হয়। চলতি অর্থবছরের গত ৬ নভেম্বর পর্যন্ত বেসরকারিভাবে চার লাখ ১২ হাজার টন গম আমদানি করা হয়েছে।