মেয়েটির নাম “ঝর্ণা”
ঝর্ণা তুমি কি সেই পাহাড়ের বুক চিড়ে
বয়ে নামা ঝর্ণা
না না আমি কখনই একথা বিশ্বাস
করিতেই পারিনা।
যদি তাই হত তবে আমার মন কেন
তোমায় ভালো বাসিত?
তুমি সরলা সুসলা নারী আমার পথ
চেয়েই থেক।
বসন্তের হিমেল হাওয়ার মত ফুলে ঢাকা
কুঞ্জবনে
রঙ ধনুর রং ছড়িয়ে আছে তোমার ফুটন্ত
যৌবনে।
মিলবে যেখানে রস সেখানেই করিও
বসবাস
ফুরিয়ে গেলে আবার এনে দেব সেই
মধুমাস।
কাজল চোখের নিচে অশ্রুর দল কেমন
করছে টলমল
তারি সাথে বেদনা দানা বেঁধে আছে
অবিরল।
প্রেমের সুরভি হাওয়া সোনার হরিণ বিজন
বনে
চরণে ক্ষিপ্র গতির শব্দ পেলে নেচে উঠে
সেই ক্ষণে।
ঝর্ণা মনে হয় তুমি আমারই ছিলে ঝুলনে
খেলার সাথী
কবে হবে বল তুমি আমার মিলন মালার
পুথি।
বধু বরণের মালা রেখেছি গেঁথে তোমাকে
দেখার পর
নিলাজ আঁচলে আকুল আকুতিতে
রাখিও জীবন ভর।
মিলনের রাত বাসর জীবনে তুমি যে
জীবন সুখি
ঝর্ণা কবে হবে বল আমার সুপ্ত দীঘল
মিলনের সখি?
লেখক: আসাদুজ্জামান আসাদ, চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ, নলডাঙ্গা