নিউজ ডেস্ক:
অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে অক্সফোর্ডের এক ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের। শনি ও মঙ্গলবার দেশে আসছে অক্সফোর্ডর ১৩ লাখ টিকা। বাদ পড়া ব্যক্তিরা আগামি সপ্তাহে পাবেন টিকার দ্বিতীয় ডোজ। এদিকে, গতরাতে চীন থেকে দেশে এসেছে সিনোফার্মের ৩০ লাখ ডোজ করোনা টিকা।
অক্সফোর্ডের টিকা দিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে শুরু হয় গণটিকা। সেরাম থেকে এক কোটি দুই লাখ ডোজ টিকা পায় সরকার। প্রথম ডোজ ৫৮ লাখ আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪২ লাখ মানুষ। মজুদ শেষ হওয়ায় দ্বিতীয় ডোজ পাননি ১৪ লাখ টিকাগ্রহীতা। এদের বেশিরভাগের অপেক্ষায় আছেন তিন মাসেরও বেশি সময়।
অপেক্ষার প্রহর শেষ করে অবশেষে মিলতে যাচ্ছে টিকা। এ সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার আসছে আরো ১৩ লাখ অক্সফোর্ডের টিকা। কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় টিকা দিচ্ছে জাপান। একই উৎস থেকে গত সপ্তাহেও দেশে এসেছে দুই লাখ ৪৫ হাজার টিকা। যার ফলে বাদ পড়া ১৪ লাখ মানুষ এই টিকা পাচ্ছেন শিগগিরই।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে দেশে এসেছে সিনোফার্মের ৩০ লাখ করোনা টিকা। এরআগে সিনোফার্মের আরও ৫১ লাখ টিকা পেয়েছে সরকার। গ্রাম পর্যায়ে এবং আরও কম বয়সীদের টিকাদান শুরুর আগে দেশের কোভিড-১৯ টিকার ভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ হয়েছে চীন থেকে নতুন চালান আসার মধ্য দিয়ে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চার্টার্ড ফ্লাইট বিজি-৫০৬৫ বৃহস্পতিবার রাতে চীন থেকে সিনোফার্মের ১০ লাখ ডোজ টিকা নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
বিমানের আরও দুটি ফ্লাইট ঢাকার পথে রয়েছে, যেগুলোতে আসছে আরও ২০ লাখ ডোজ টিকা। শুক্রবার ভোরে ওই চালান দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বলে বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এই ৩০ লাখ ডোজের পুরোটাই চীনা কোম্পানি সিনোফার্ম থেকে বাংলাদেশের কেনা করোনাভাইরাসের টিকা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা টিকার চালান নিতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসিঅ্যান্ডএইচ) ডা. মো. শামসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “এসব টিকা বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে রাখা হবে। সেখান থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় টিকা পাঠানো হবে।”
সব ধরনের টিকা মিলিয়ে এ পর্যন্ত দেশে এসেছে দুই কোটি ৪১ লাখ ডোজ। এর মধ্যে এক কোটি ২৭ লাখ টিকা দেয়া হয়েছে। বাকি টিকা নিয়ে ৭ আগস্ট দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে শুরু হচ্ছে টিকাদান।
চীন থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি হয়েছে। সেখান থেকে আরও দুই কোটি ১৯ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ।