নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম:
দেরিতে হলেও ভারী বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকদের মাঝে। ভরা বর্ষায় বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতে সেচ দিয়ে আমন ধানের চাষাবাদ শুরু করে উপজেলার কৃষকরা। বৃষ্টির পানি পেয়ে সতেজ হয়ে উঠেছে আমন ধানের ক্ষেত। অপরদিকে শরতের এই ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পরেছিলো উপজেলার শাকসবজি চাষিরা। বৃষ্টির কারণে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, বেগুন, টমেটো ও কাঁচা মরিচের গাছ নষ্ট হয়ে যাবার উপক্রম হয়। পরে আবহাওয়া অনুকূলে আসায় তা সতেজ হয়ে উঠেছে। তাই আশার আলো দেখছে সবজি চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় ১৯ হাজার ৭শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। আর এ বছর ২০০ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন শাকসবজির চাষাবাদ হয়। উপজেলার দলগাছা গ্রামের কৃষক মুনিরুজ্জামান জানান, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায় আমরা জমিতে পানি সেচ দিয়ে আমন ধানের চাষাবাদ করেছি। এতে আমন ধান চাষে ব্যয় বেড়ে যাবে। তবে গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টিপাত হওয়ায় এখন আমন ধানের ক্ষেত দেখে আমাদের মন ভরে উঠেছে। ধানের উৎপাদন খরচ অনেক বেশি তাই আবাদ করে তেমন লাভ হচ্ছে না। উপজেলার বাদলাশন গ্রামের কৃষক জুয়েল রানা বলেন, বাড়তি লাভের আশায় প্রতি বছর আগাম জাতের শাকসবজি চাষ করে থাকি। এবারও আড়াই বিঘা জমিতে ফুলকপি ও ৪ বিঘা জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ করেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন, বৃষ্টির কারণে আমন ধান অনেক ভালো হবে। কৃষি অফিস হতে শাকসবজি চাষিদের জমি থেকে বৃষ্টির পানি দ্রুত বের করে দেওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হয়। যে কারণে শাকসবজির ক্ষেত সতেজ হয়ে উঠেছে।