বুধবার , এপ্রিল ২৪ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / আর দুইটি পিলার বাকি পদ্মা সেতুর

আর দুইটি পিলার বাকি পদ্মা সেতুর

দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলছে বহুল আকাঙ্খিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্ত একসাথে জুড়ে দেয়ার জন্য চলছে মহাযজ্ঞ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার  লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর ২৯৪টি পিলারের মধ্যে ২৯২টি পিলার নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি মাত্র ২৬ ও ২৭ নম্বর খুঁটিতে একটি করে পাইল বসানো। দু’টি খুঁটিরই মাঝখানের অর্থাৎ ৭ নম্বর পাইলটি বাকি। এছাড়া আরও একটি পাইলের ওপরের টপ সেকশন বাকি আছে। এই পাইল সম্পন্ন করার কথা রয়েছে ১৫ জুলাই। তবে ৩০ জুলাইয়ের আগেই এই পাইলিং সম্পন্ন হচ্ছে এটি প্রায় নিশ্চিত বলে জানান পদ্মা সেতুর দায়িত্বশীল এক প্রকৌশলী।

এদিকে পদ্মা সেতুর ১৫তম স্প্যান বসানোর প্রস্তুতি চলছে মাওয়া প্রান্তের ১৬ ও ১৭ নম্বর খুঁটিতে। তবে এখনও তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। চলতি মাসেই এই স্প্যানটি বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন। এদিকে গত শনিবার বিকেলে পদ্মা সেতুর ১৪তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুটি ২১০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে । ‘৩-সি’ নম্বর এই স্প্যান মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১৫-১৬ পিলারে স্থাপন করা হয়।

সেতুর মোট ৪২টি পিলারের মধ্যে ইতোমধ্যে ২৯টির পিলার পুরোপুরি তৈরি সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন শুধুমাত্র জাজিরা প্রান্তে সেতুর ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারে পাইলের কাজ চলছে। ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারে সাতটি পাইলের মধ্যে ৬টি পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন হয়ে গেছে। এখন বাকি রয়েছে শুধু মাঝখানের একটি করে পাইল। এই দুই খুঁটিতে খাঁজকাটা (ট্যাম) সাতটি করে পাইল বসছে। ৩৫ কিলোজুল ক্ষমতার হ্যামারটি এখানে পাইল ড্রাইভ করছে। তবে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে ২৪শ’ কিলোজুল ক্ষমতার হ্যামারটিও। আর অলস বসে আছে ১৯শ’ কিলোজুল ক্ষমতার হ্যামারটি।

এই ২৬ ও ২৭ নম্বর দুই খুঁটির পাশ দিয়েই শিমুলিয়া থেকে কাওড়াকান্দির ফেরি চ্যানেল প্রবাহিত। তাই ড্রেজিং করে ফেরি চ্যানেলের জায়গা প্রশস্ত করে ২৫ ও ২৬ নম্বরের মাঝখান দিয়ে চ্যানেলটি প্রবাহিত হচ্ছে। বিকল্প চ্যানেল করে দিয়ে এই দুই খুঁটি নির্মাণ শুরু হয়। আর এই খুঁটির মধ্য দিয়েই পাইলের বিশাল কর্মযজ্ঞের পরিসমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। পদ্মা সেতুর পিলারের একেকটি পাইল লোড ৮ হাজার ২০০ টন। জার্মানি থেকে আনা বিশাল বিশাল ৩টি হ্যামারের প্রয়োজনীয়তাও আর থাকছে না। অথচ ক’দিন আগেও এই হ্যামারই ছিল অতি গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণযন্ত্র।

জাজিরা প্রান্তে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বসানো হয় প্রথম স্প্যান। এর প্রায় চার মাস পর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে। দেড় মাস পর ১১ মার্চ এ প্রান্তে ধূসর রঙের তৃতীয় স্প্যান বসানো হয়। দু’মাস পর ১৩ মে বসে চতুর্থ স্প্যান। এক মাস ১৬ দিনের মাথায় পঞ্চম স্প্যানটি বসে ২৯ জুন। তারপর ছয় মাস ২৫ দিনের মাথায় ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি বসে ষষ্ঠ স্প্যান। এর ২৮ দিনের মাথায় ২০ ফেব্রুয়ারি বসে সপ্তম স্প্যানটি। এর একমাস পরে ২২ মার্চ বসে অষ্টম স্প্যান। এরপর ১০ এপ্রিল বসে দশম স্প্যান। এর ১৩ দিনের মাথায় ২৩ এপ্রিল বসে একাদশ স্প্যান। এর ১২ দিনের মাথায় দ্বাদশ স্প্যানটি অস্থায়ীভাবে বসে চলতি মাসের ৫ মে। আর মাওয়া প্রান্তে একটি মাত্র অস্থায়ীভাবে স্প্যান বসানো হয় ২০১৮ সালের ১২ অক্টোবর।

আরও দেখুন

বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার

নিউজ ডেস্ক: বান্দরবানে হামলা ও ব্যাংক লুটকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি …