শুক্রবার , নভেম্বর ১৫ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি শনাক্ত করতে পৃথক ইউনিট গঠনের নির্দেশ

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি শনাক্ত করতে পৃথক ইউনিট গঠনের নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক:

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছেকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রেখে নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নীতিমালার আওতায় যারা ইচ্ছেকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে শনাক্ত হবেন তারা বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না। ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে থাকবে নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞা থাকবে কোম্পানি গঠনে। গাড়ি, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির নিবন্ধন করতে পারবেন না। এ জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস (আরজেএসসি) এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের তালিকা পাঠানো হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় কোনো পুরস্কার বা সম্মাননা পাওয়ার অযোগ্য বিবেচিত হবেন। একই সাথে শর্তপূরণ করে ঋণ পরিশোধ করার পর ইচ্ছেকৃত ঋণখেলাপির তালিকা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পরবর্তী পাঁচ বছর ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন করে ঋণ নিতে পারবেন না। একই সাথে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক থাকলে তা শূন্য ঘোষণা হবেন এবং নতুন কোনো পরিচালক হতে পারবেন না। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারিকৃত সার্কুলারে কিভাবে ইচ্ছেকৃত ঋণখেলাপি চিহ্নিত করা হবে তারও সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের এক সার্কুলারে এই দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি খেলাপি হওয়ার পর উক্ত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা কি না তা শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। সেগুলো হলো, খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্তকরণসহ এ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদনের নিমিত্ত ফাইন্যান্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অব্যবহিত দুই ধাপ নিচের কর্মকর্তার অধীনে প্রধান কার্যালয়ে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট নামে একটি পৃথক ইউনিট চলতি বছরের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে গঠন করতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২৩ এ প্রদত্ত ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতার সংজ্ঞা মোতাবেক ফাইন্যান্স কোম্পানি কর্তৃক তাদের কোনো খেলাপি ঋণগ্রহীতা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা কি না তা শনাক্ত করতে হবে। খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার তৎপরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে ওই ঋণগ্রহীতা ইচ্ছাকৃত খেলাপি কি না তা নিরূপণের লক্ষ্যে বিবেচ্য বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে ফাইন্যান্স কোম্পানির সংশ্লিষ্ট ইউনিট কর্তৃক পর্যালোচনাপূর্বক শনাক্ত করতে হবে। তবে যৌক্তিক কারণে বর্ণিত সময়ের মধ্যে শনাক্ত করা সম্ভব না হলে ফাইন্যান্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমোদনক্রমে ওই সময় আরো ৩০ দিন বৃদ্ধি করা যাবে।

ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা চূড়ান্তকরণের বিষয়ে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা হিসাবে শনাক্ত হলে তা চূড়ান্তকরণের ক্ষেত্রে কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে এর মধ্যে কোনো খেলাপি ঋণগ্রহীতা ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা হিসেবে শনাক্তকৃত হলে শনাক্তকরণের কারণ উল্লেখপূর্বক সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতাকে তার বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ১৪ কর্মদিবস সময় প্রদান করতে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে অথবা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণগ্রহীতা কর্তৃক প্রদত্ত বক্তব্য গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হলে বা না হলে ‘ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ কর্তৃক এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে ফাইন্যান্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। তবে জাতীয় শিল্পনীতিতে বর্ণিত সংজ্ঞানুযায়ী বৃহৎ শিল্প খাতের ৭৫ কোটি ও তদূর্ধ্ব, ‘মাঝারি শিল্প’ খাতের ৩০ কোটি ও তদূর্ধ্ব এবং অন্যান্য খাতের ১০ কোটি ও তদূর্ধ্ব স্থিতিসম্পন্ন ঋণের ক্ষেত্রে ফাইন্যান্স কোম্পানির নির্বাহী কমিটির পরিচালক পর্ষদের অনুমোদন গ্রহণ আবশ্যক হবে।

আরও দেখুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ………..চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদান সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *