সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / স্বাস্থ্য / করোনা / আর্তি চাপা পড়ে গেছে কেজি স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের

আর্তি চাপা পড়ে গেছে কেজি স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের

পরিতোষ অধিকারী
আর্তি চাপা পড়ে গেছে নাটোরের কেজি স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের।নাটোরে পঞ্চাশের অধিক কেজি স্কুল রয়েছে। এতে কম বেশিপাঁচ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী কাজ করছেন্ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারা বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা মাস গেলে অন্তত বেতনের অংশটি হাতে পাচ্ছেন। কিন্তু বাংলাদেশের সকল কিন্ডার গার্টেন স্কুল ব্যক্তি মালিকানার স্কুল হওয়ায় এদের নির্ভর করতে হচ্ছে মালিকের ওপর। এদের পরিচালনার জন্যেও নেই কোন নীতিমালা। নেই কোন স্থানীয় পরিচালনা কমিটি। কোথাও একজনই মালিক আবার কোথাওবা সম্মিলিত মালিকানায় তৈরি হয়েছে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠির একটা অংশ এই সকল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন।আবার কোথাও এডহক ভিত্তিতে বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও অস্থাযী ভিত্তিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। এই সকল শিক্ষকরা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা আসছেনা। ফলে,বেতন আদায়ও হচ্ছেনা। সেই কারণে তারাও কোন বেতন বা সম্মানীভাতা পাচ্ছেননা।যা দুই একটা টিউশনি করতেন তাও অভিভাবরা বন্ধ রেখেছেন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে। ফলে তাদের চলতে হচ্ছে ধার-দেনা করে।হাতে গোনা দুই একটি প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন প্রদান করে যাচ্ছে।তারা কতদিন দিতে পারবেন,তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেজি স্কুলের একজন শিক্ষক জানান,তাদের মার্চ মাসের বেতনই দেয়া হয়নি। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ আগেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায় করেছেন।বেতন আদায় করেই দিচ্ছেননা, বেতন আদায় না হলে কীকরে দেবেন।

আরো একজন শিক্ষক জানান, কেজি স্কুল প্রতিষ্ঠাতাদের এটাও একটা ব্যবসা। অনেকেই প্রচুর সম্পদের মালিক বনে গেছেন এই কেজি স্কুলের মাধ্যমে।তবুও এই অসময়ে তারা শিক্ষকদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তারা।

এক শিক্ষক জানান, ধার-কর্জ করে চলছেন। কতদিন এভাবে চলতে পারেন,তা নিয়ে সংশয়ে আছেন। তিনি জানান,আমরা ঋণ করতে পারি। কিন্তু,কারো কাছে হাত পাততে পারিনা।

নাটোরের লিডিং কেজি স্কুলের পরিচালক জানান,আমি শিক্ষকদের বেতন ঠিকমতো দিয়ে যাচ্ছি। আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধ করিনি।তবে আমাদের এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বেতন প্রদান করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই আমার নাম প্রকাশ না করার জন্যে অনুরোধ জানাচ্ছি।

সামনে ঈদুল ফিতর।বড় অনিশচয়তায় পড়েছেন তারা। তাদের কল্যাণে কিছু করার জন্যে প্রশাসনসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

আরও দেখুন

পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!

নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …