নিজস্ব প্রতিবেদক:
সংসদ সদস্যদের তালিকার ভিত্তিতে দেশে আরো ৫০০০ শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের কাজ অতি দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরের ডিসেম্বরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন পর্যালোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
সভায় সংসদ সদস্যদের তালিকার ভিত্তিতে দেশে আরো ৫০০০ শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের কার্যক্রম অতি দ্রুত শেষ করাসহ হাই-টেক পার্কগুলোতে শূন্যপদে জনবল নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দিতে সারা দেশে ৮ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছে সরকার এবং ইতিমধ্যে আরও ৫ হাজার ল্যাব স্থাপনের উদ্যেগ নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় আইসিটি বিভাগের চলতি অর্থবছরে নেওয়া প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন পরিকল্পনা, মাসভিত্তিক বাস্তব ও আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সভায় কানেক্টেড বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্প, এটু-আই প্রোগ্রাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক রাজশাহী প্রকল্প, কালিয়াকৈর হাইটেক-পার্ক সহ অন্যান্য হাইটেক পার্ক উন্নয়ন প্রকল্প,ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি স্থাপন ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রকল্প, মোবাইল গেইম অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন এর দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প, লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা প্রকল্পসহ অন্যান্য সকল প্রকল্পের আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সংস্থা প্রধান ও প্রকল্প পরিচালকরা নিজ নিজ প্রকল্পের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা ও সর্বশেষ অগ্রগতি সভায় তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রী কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী গুণগতমান বজায় রেখে প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করতে প্রকল্প পরিচালকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।
সভায় জানানো হয়, প্রকল্পগুলোর ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ২০ দশমিক ৯১ ভাগ। চলতি (২০২০-২১) অর্থবছরে আইসিটি বিভাগের অধীন মোট ২৫ টি প্রকল্পের জন্য এডিপিতে বরাদ্দ রয়েছে এক হাজার ৪১৪ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা।
সভায় আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরসহ বিভাগ ও বিভিন্ন সংস্থা প্রধান এবং বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।