নিউজ ডেস্ক:
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় সমস্যা সমাধানে আরও ৯টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
ভারত ছাড়া আরও নয়টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এসব দেশ থেকে প্রায় ১৪ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে।
বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতের পাশাপাশি চীন, মিসর, পাকিস্তান, কাতার, তুরস্ক, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় দেশে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় বিকল্প হিসেবে এসব দেশ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি আমদানির অনুমতি দেয়া হয়
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির পর এখন পর্যন্ত দেশে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন পেঁয়াজ এসেছে। মোট অনুমোদন দেয়া হয়েছে ১৩ লাখ ৭৩ হাজার টন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে ৩৫ থেকে ৩৬ লাখ টন। এর মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন হয় ৩০ থেকে ৩২ লাখ টন। গত বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার টন।
তবে গরম ও সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের ২০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। তাই চাহিদা মেটাতে বছরের বড় একটা সময় ধরেই পেঁয়াজ আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয় বাংলাদেশকে। আর এসব পেঁয়াজের সিংহভাগ আসে ভারত থেকে।
দেশের বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে কয়েক মাস আগে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। সম্প্রতি পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছে ভারত। এতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অনেকটা বন্ধ হওয়ার পথে।
ফলে আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। বর্তমানে দেশে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।