নিজস্ব প্রতিবেদক:
- উচ্চতর গ্রেড পাচ্ছেন চার হাজার ৬৫৩ জন
বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আরও এক হাজার ৪৬৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত হচ্ছেন। স্কুল-কলেজের চার হাজার ৬৫৩ জন শিক্ষক কর্মচারী পাচ্ছেন উচ্চতর গ্রেড। মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে এমপিও কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিকে করোনাকালে স্থানান্তর হওয়া প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা দেশের যে কোন স্থানের স্কুলে ভর্তি হতে পারবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
মঙ্গলবার শিক্ষা ভবনে অবস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে এমপিও কমিটির সভায় শিক্ষক কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক। সভায় নতুন এক হাজার ৪৬৩ শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। তাদের মধ্যে স্কুলের এক হাজার ১১২ জন ও কলেজের ৩৫১ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন।
কমিটি সূত্রে জানা গেছে, স্কুলের এক হাজার ১১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৫৭ জন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১১০ জন, কুমিল্লা অঞ্চলের ৫৪ জন, ঢাকা অঞ্চলের ২২১ জন, খুলনা অঞ্চলের ৮১ জন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের ১৬১ জন, রাজশাহী অঞ্চলের ১৮৪ জন, রংপুর অঞ্চলের ১৭৭ জন এবং সিলেট অঞ্চলের ৬৭ জন শিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন।
অপরদিকে কলেজের ৩৫১ জন শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৩৩ জন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ছয়জন, কুমিল্লা অঞ্চলের ১১ জন, ঢাকা অঞ্চলের ২১ জন, খুলনা অঞ্চলের ৬৩ জন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের ১৮ জন, রাজশাহী অঞ্চলের ১০৯ জন, রংপুর অঞ্চলের ৭৭ জন এবং সিলেট অঞ্চলের ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন।
এদিকে স্কুল কলেজের চার হাজার ৬৫৩ জন শিক্ষক কর্মচারী উচ্চতর গ্রেড পাচ্ছেন। এদের মধ্যে স্কুলের চার হাজার ৬২২ জন এবং কলেজের ৩১ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। স্কুলের চার হাজার ৬২২ জন শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৩০৯ জন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৪৭২ জন, কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬২ জন, ঢাকা অঞ্চলের ৫৫৪ জন, খুলনা অঞ্চলের ৭৫৮ জন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৪৪২ জন, রাজশাহী অঞ্চলের ৬৭৩ জন, রংপুর অঞ্চলের ৯৮০ জন এবং সিলেট অঞ্চলের ২৭১ জন শিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন।
উচ্চতর গ্রেড পাওয়া কলেজের ৩১ শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৫ জন, চট্টগ্রাম চার জন, কুমিল্লা অঞ্চলের তিনজন, ঢাকা অঞ্চলের ছয়জন, খুলনা অঞ্চলের ১০জন, ময়মনসিংহ অঞ্চলের তিনজন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন।
এদিকে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা দেশের যে কোন স্থানের স্কুলে ভর্তি হতে পারবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। স্থানান্তর হওয়া শিক্ষার্থীরা আগামী বছরের শুরুতে আগের বিদ্যালয়ের ভর্তির প্রমাণ দেখালে ভর্তি করানো যাবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশের সকল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
দেশে করোনা সংক্রমণের ভয়ে অনেকে ঢাকা থেকে স্থায়ীভাবে নিজ গ্রামের বাড়িতে বসবাস করছেন। অনেকে রাজধানীর বিভিন্ন বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত থাকলেও ছাড়পত্র না নিয়ে চলে গেছেন। অনেকে আবার শহরে ফিরে এলেও তাদের সন্তানদের গ্রামের বাড়িতে রেখে ঢাকায় চলে এসেছেন।
এসব শিক্ষার্থীরা তার সুবিধামতো দেশের যে কোন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ভর্তি হতে পারবে। এ জন্য আগের বিদ্যালয়ের অধ্যয়নের প্রমাণপত্র জমা দিয়ে নতুন স্থানে ভর্তি হতে পারবে।
চাইলে ডিপিইর মহাপরিচালক এ এম মনসুর আলম বলেছেন, দেশের যে কোন স্থান থেকে স্থানান্তর হওয়া শিক্ষার্থীরা তাদের পচ্ছন্দমতো বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে। যে যে ক্লাসে পড়ত তার প্রমাণ নিয়ে নতুন স্থানে ভর্তি হতে হবে।
তিনি বলেন, একটি নির্দেশনা দেশের সকল জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এর ফলে বছরের শুরুতে একজন শিক্ষার্থী তার সুবিধামতো বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে সংসদ টেলিভিন, বাংলাদেশ বেতার ও কমিউনিটি রেডিওতে শ্রেণীপাঠ সম্প্রচার হচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন বাড়ির কাজ দেয়া হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী বাড়ির কাজ সম্পন্ন করছে। অনেকে আবার এ কার্যক্রমের আওতার বাইরে আছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে চলতি বছর প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার মতো পরিস্থিতি নেই বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।