নিজস্ব প্রতিবেদক :
আরএমপি কর্ণহার থানা পুলিশকে জড়িয়ে অপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। গত ৫ জুন, রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক সানশাইনসহ কিছু অনলাইন পোর্টালে পুকুর খনন কারিদের আটকের পরে ছেড়ে দিলো আরএমপি কর্ণহার থানা পুলিশ শিরোনামে, সংবাদটি সম্পূর্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট ও উদ্দেশ্য মূলক। একটি চক্র গনমাধ্যম কর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পবা উপজেলার দারুসা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা।
গত ৭ জুন মঙ্গলবার, গনমাধ্যমে পাঠানো এক বিব্রিতির মাধ্যমে তাকে জড়িয়ে ও থানা পুলিশের কিছু অফিসার কে নিয়ে উদ্দেশ্য মূলক প্রকাশিত সংবাদের তিব্র প্রতিবাদ ও ও ব্যখ্যা জানান।
চেয়ারম্যান বিব্রিতির মাধ্যমে আরো জানান, মিথ্যা সংবাদে প্রচার করা হয় কর্ণহার গুচ্ছ গ্রাম বড় বিলে পুকুর খনন করা হচ্ছে। এ তথ্য মিথ্যা। খাল খনন করা হচ্ছে। ওই এলাকার ভূমীহিনদেন জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে তাদের সুবিধার বিষয় বিবেচনা করে সরকারি জমিতে খাল খনন শুরু করেছিলো শরিষাকুড়ি গ্রামের মৃত শামসুজ্জামানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও আব্দুস সাত্তারের ছেলে নয়ন আলী।
বিষয়টি গত ৪ জুন দিবাগত রাতে কর্নহার থানা পুলিশের এসআই আব্বাস, শাহিন, এ এস আই সাইদুল, সুলতানসহ একটি টিম ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে খাল খনন করা যাবে না বলে নিষেধ করে তাদের। তারা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায় যে, খাল খনন করা হচ্ছে ভূমিহীন মানুষের উপকারে। পরে কর্ণহার থানার এসআই নাদিম নয়ন ও জাহাঙ্গীরকে থানায় ডেকে পাঠায়।
তরা কর্ণহার থানা পুলিশের কথা মতো থানায় গেলে এসআই নাদিম জানান, সরকারি অনুমতি ছাড়া খাল খনন করা যাবে না। কাজ বন্ধ করে ভেকু মেশিন উঠিয়ে নিয়ে যান। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা খনন কাজ বন্ধ করে মেশিন উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়।
তিনি আরো বলেন, সংবাদে বলা হয়েছে চেয়ারম্যান এর সমন্বয়ে তাদের ২ জনকে থানা পুলিশ মোটা অংঙ্কের টাকার বিনিময় ছেড়ে দিয়েছে। এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। একটি পক্ষ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিষয়টি নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে অপপ্রচার করছে। ওই চক্রটি গনমাধ্যম কর্মীদের থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করে পুলিশ ও আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এমন উদ্দেশ্য মূলক সংবাদ আশা করা যায়না। এমন মিথ্যা তথ্যের সংবাদ প্রকাশ করে গনমাধ্যমের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। ভবিষৎ এমন সংবাদ প্রচার না করার জন্য আহব্বান জানান তিনি।