রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪
নীড় পাতা / আবহাওয়া / আম্ফান মোকাবেলায় সর্বদাই জনগণের পাশে বাংলাদেশ পুলিশ

আম্ফান মোকাবেলায় সর্বদাই জনগণের পাশে বাংলাদেশ পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
করোনাযুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের একটি বাংলাদেশ পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশ ধেয়ে আসা প্রলংকরী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় সাধারণ জনগনের জন্য সতর্কবার্তা জানিয়ে প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেইজে একটি আহ্বান পোস্ট করেছে। নারদ বার্তার পাঠকদের জন্য পোস্টটি এখানে উল্লেখ করা হলো।

“চলমান করোনা সংকটের মধ্যে আরেক দুর্যোগের নাম ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০ মে ২০২০ খ্রিঃ বুধবার বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ এটি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। করোনা সংকটের মতো ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষয়ক্ষতি থেকে মানুষের জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিতে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ পুলিশ।

আম্ফানের মতো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে জনগণের সহযোগিতার একান্ত প্রয়োজন। এজন্য ঘূর্ণিঝড়ের দেশের সম্মানিত নাগরিকগণকে কিছু বিষয় অনুসরণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

আবহাওয়া অফিসের ঘোষণা অনুযায়ী যেসব এলাকায় আম্ফানের আঘাত হানার জোরালো আশংকা রয়েছে, সেইসব এলাকার লোকজন যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিন। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় পারলে শুকনো খাবার ও খাবার পানি সঙ্গে নিন। রাতে চলাচলে প্রয়োজনে হয় এমন সব ইলেকট্রনিক উপকরণ যেমন লাইট, ব্যাটারি ইত্যাদি সাথে রাখুন। গৃহপালিত পশুপাখি যতটা সম্ভব নিরাপদ ও উঁচুস্থানে রাখুন।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই, ঘূর্ণিঝড় চলাকালে অবশ্যই নিরাপদ স্থানে অবস্থান করবেন। ঘরে থাকা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, গ্যাসের চুলা যতটা সম্ভব বন্ধ রাখুন। জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজন পড়ে এমন অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী অবশ্যই পানি নিরোধী পলিথিন কিংবা শুকনো থাকবে এমন বস্তু দিয়ে ভালোভাবে মুড়িয়ে সংরক্ষণ করুন।

চলছে করোনাকাল। তাই আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় অবশ্যই স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী যেমন মাস্ক, গ্লোভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিতে ভুলবেন না। যতটা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই অবস্থানের চেষ্টা করুন। ঘূর্ণিঝড়ের পরে উদ্ধার অভিযানের রেসকিউ সামগ্রী ও রেসকিউ বোর্টের জন্য প্রয়োজন পড়তে পারে। এজন্য উদ্ধারের কাজে লাগতে পারে যেমন স্পিডবোট, রেসকিউ বোট, নৌকা, লাইফ জ্যাকেটসহ অন্যান্য সামগ্রী ভালোভাবে সংরক্ষণ করুন।

ঘূর্ণিঝড় থেকে সুরক্ষিত থাকতে আশ্রয়কেন্দ্রে নিজে যান। অপরকেও আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য উদ্ভুদ্ধ করুন। এ ব্যাপারে যেকোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক কিংবা পুলিশের সহায়তা নিন। যেকোনো প্রয়োজনে স্থানীয় পুলিশের স্থানীয় ইউনিটের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাকে যেকোনো তথ্য কিংবা ঘূর্ণিঝড়ের কারনে প্রয়োজন হতে পারে এমন যেকোনো সহযোগিতার জন্য সদা প্রস্তুত বাংলাদেশ পুলিশ। ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় পুলিশের সহায়তা নিন। নিজে সুরক্ষিত থাকুন, অপরকেও সুরক্ষিত রাখুন।

সর্বদাই জনগণের পাশে, বাংলাদেশ পুলিশ।”

আরও দেখুন

লালপুরে কুরেছান বেগমের ইন্তেকাল 

নিজস্ব প্রতিবেদক লালপুর,,,,,,,,,,,,,,দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার নাটোরের লালপুর প্রতিনিধি ও মডেল প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাহীন …